বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিদ্যুৎ (Electricity) ছাড়া একপ্রকার অচল মানুষের জীবন। গরমের পড়তেই হু হু করে বেড়েছে এর চাহিদা। এবার বিল বাঁচাতে দেদার বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ উঠল। ইতিমধ্যেই ১২ জন উপভোক্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর (FIR)। সেই সঙ্গেই মোটা টাকা জরিমানাও করা হয়েছে বলে খবর।
২৫ এপ্রিল থেকে এখনও অবধি ১২টি বিদ্যুৎ (Electricity) চুরির ঘটনা সামনে এসেছে!
জেল-জরিমানার ভয় কাজ দিচ্ছে না! বীরভূম (Birbhum) জুড়ে এখনও বিদ্যুৎ চুরি চলছে। বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে খবর, গত ২৫ এপ্রিল থেকে এখনও অবধি মোট ১২টি বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ, সব ক্ষেত্রেই মিটারে কারচুপি করা হয়েছে।
মিটারের (Meter) ভেতরের দ্বিধাতু পাতে পয়েন্ট অফ লোকেশন সুকৌশলে পাল্টে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর ফলে যতটা বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে, তার থেকে রিডিং অনেকটাই কম উঠছে। মূলত বিল বাঁচানোর জন্যই এই রকম কারচুপি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বৃষ্টি হতেই জল থইথই ঘাটাল! বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার
বীরভূমের বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের আশঙ্কা, এই বিদ্যুৎ চুরির নেপথ্যে একটি বড় চক্র থাকতে পারে! ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফ থেকে বিদ্যুৎ চুরি করা উপভোক্তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই তাঁদের মোটা টাকা জরিমানাও হয়েছে।
জেলা বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজার পরিমল সরকার এই বিষয়ে বলেন, মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা সামনে আসে। সব ক্ষেত্রে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। ১২ জন উপভোক্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে ও জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ চুরি আটাকাতে জেলাজুড়ে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
দপ্তরের তরফ থেকে খবর, বিদ্যুৎ চুরি করার ঘটনায় মোট ৩১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে থেকে এখনও অবধি ১৭ লাখ টাকা আদায় করা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, লাইট, ফ্যান থেকে এসি, ফ্রিজ, বর্তমানে বিদ্যুৎ (Electricity) ছাড়া কার্যত অচল মানুষের জীবন। এবার বিল বাঁচাতেই বীরভূমে বিদ্যুৎ চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এর পিছনে বড় চক্র থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা। পুলিশের সাহায্যে সেই চক্রের মাথার খোঁজ চলছে বলে খবর।
Made in India