বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনাকে উপেক্ষা করে বাংলার বাড়ি (Bangla Awas Yojana) করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। অনেক আগেই প্রথম কিস্তির টাকা আগেই পৌঁছে গিয়েছে উপভোক্তাদের কাছে। সেই পর্যায়ে বাড়ি তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে অনেকাংশে। এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগেই বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দ্বিতীয় কিস্তির বরাদ্দ দেওয়াও শুরু হয়ে গেছে। তবে এরই মধ্যে একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে।
টাকা পেয়েও বাড়ি না বানানোয় কড়া ব্যবস্থা প্রশাসনের | Bangla Awas Yojana
শোনা যাচ্ছে, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়েও বাড়ি প্রকল্পের কাজ শুরু করেননি মালদহের ১১৭ জন উপভোক্তা। এবার সেই নিয়েই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। এই উপভোক্তাদের বিরুদ্ধে নোটিস জারির সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনটি নোটিস দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে নাবালিকা মৃত্যুতে যা বলার দল বলবে! উপভোটে জয়ী আলিফাকে ‘চুপ’ থাকার নির্দেশ মমতার
সূত্রের খবর, নোটিস জারি করার পরও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু না করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এই উপভোক্তাদের বিরুদ্ধে। চতুর্থ নোটিস জারি করে আবাসের জন্য সরকারি টাকা ফেরানোর কথা বলা হবে। যদিও এই উপভোক্তারা টাকা ফেরত না দেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করবে প্রশাসন।
রিপোর্ট বলছে, মালদহের ১১৭ জন উপভোক্তা রয়েছেন যারা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির পুরো টাকা পেয়েও বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেননি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও কাজ শুরু করেননি, মালদহের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপভোক্তারা। পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যা ৭।
আরও পড়ুন: বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা প্রাপকদের জন্য সুখবর, এবার নেওয়া হল বিরাট উদ্যোগ
সূত্রের খবর, কালিয়াচক -২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৫ জন উপভোক্তা বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা পেয়েও গত সাত মাস ধরে এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু করেননি। তাদের সহ সকলের বিরুদ্ধেই এ বার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে শুধু মালদা নয়, রাজ্যের একাধিক জেলায় এমন উপভোক্তার সংখ্যা কম নয়, যারা বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েও কাজে হাত দেননি। স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে এ বার পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে।
Made in India