বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওবিসি ইস্যুতে টালবাহানা অব্যাহত। ওবিসি (OBC Case) মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার পালটা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) গেল রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ডিভিশন বেঞ্চ যে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছিল, তার বিরোধীতা করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য (State Government)।
সুপ্রিম কোর্টে কী আবেদন? Supreme Court
সম্প্রতি ওবিসি সংরক্ষণ (OBC Certificate) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য (Government of West Bengal)। রাজ্যের করা সমীক্ষা নিয়ে আপত্তি তুলে OBC নিয়ে সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তির পাল্টা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাতেই রাজ্যের নতুন ওবিসি বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট। আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছিল।
এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে রাজ্যের দাবি, এই স্থগিতাদেশ থাকলে কলেজে ভর্তি থেকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত এসএসসি’র ২০১৬ র নিয়োগ প্রক্রিয়া সবকিছুই থমকে যাবে। তাই হাইকোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ খারিজ করার আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
উল্লেখ্য, ওবিসি শংসাপত্র বাতিল মামলায় মামলাকারীদের বক্তব্য, সমস্ত নিয়ম মেনে মোট জনসংখ্যার প্রেক্ষিতে রাজ্য সমীক্ষা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা উচিৎ। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সমীক্ষা করেনি অভিযোগ অভিযোগ করা হয়। মামলাকারী পক্ষের বক্তব্য, সামাজিক, আর্থিক এবং পেশাগত ভাবে ভিন্ন রাজ্যের সব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সমীক্ষা করতে হবে বলে নির্দেশ ছিল উচ্চ আদালতের। কিন্তু রাজ্য জেলাভিত্তিক কয়েকটি পরিবারের মধ্যে সমীক্ষা সীমাবদ্ধ রেখেছে।
আরও পড়ুন: ‘এই’ দিনই জারি হচ্ছে বিজ্ঞপ্তি! বকেয়া DA নিয়ে সামনে ‘সুখবর’? স্বস্তি ফিরছে সরকারি কর্মীদের
আদালতে তাদের আরও দাবি ছিল, আগের ওবিসি তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার সামান্যই পার্থক্য রয়েছে। মোট জনসংখ্যা কত, রাজ্যের কাছে সেই বিষয়ে তথ্য নেই। সঠিক পদ্ধতিতে সমীক্ষার বদলে কোনও তথ্য ছাড়াই বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া আদালত বলেছিল নতুন জনগোষ্ঠীকে ওবিসির আওতায় আনতে গেলে বিধানসভায় বিল পেশ করতে হয়। কিন্তু রাজ্য তা করেনি।
প্রসঙ্গত, গত বছর মে মাসে ২০১০ সালের পর থেকে অন্যান্য অনগ্রসর সম্প্রদায় ভুক্তদের দেওয়া সব শংসাপত্র বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া সেই রায়ে এক ধাক্কায় কয়েক লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হয়ে যায়। সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেই মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে ঝুলছে। রাজ্য বারংবার হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ চাইলেও তা দেয়নি শীর্ষ আদালত।