বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ মেনে অবশেষে ষষ্ঠ পে কমিশনের (6th Pay commission) রিপোর্ট প্রকাশ করল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। রাজ্যের ষষ্ঠ পে কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার। গতকাল রাজ্যের প্রকাশ করা সেই রিপোর্টে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য।
কেন্দ্রীয় হারে DA দিতে বাধ্য নয় রাজ্য | West Bengal Government
রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, সর্বভারতীয় মূল্যসূচকের নিরিখে বা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে বাধ্য নয় রাজ্য। রাজ্য সরকার নিজের আর্থিক ক্ষমতা বুঝে মহার্ঘ ভাতা অর্থাৎ ডিএ স্থির করবে। ১৯৭ পাতার রিপোর্টের ১৩১ নম্বর পাতার ১২.৪ পয়েন্টে উল্লেখ রয়েছে, অল ইন্ডিয়া প্রাইস ইনডেক্স বা এআইসিপিআই মেনে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ’র হার নির্ধারণ রাজ্য সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। রাজ্য নিজের আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী ডিএ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
রিপোর্টে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ’র প্রসঙ্গটি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রিপোর্টের ১৩১ নম্বর পাতার ১২.৪ পয়েন্টে উল্লেখ রয়েছে, ‘আলোচ্য বিষয়গুলি বিবেচনা করে কমিশনের সুপারিশ, রাজ্যের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সরকার বিভিন্ন সময়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা নির্ধারণ করতে পারে সরকার।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ে সাময়িক স্বস্তি, চাকরিহারা শিক্ষকের মামলায় SSC-কে বড় নির্দেশ আদালতের
রিপোর্টেই স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, AICPI মেনে রাজ্যকে যে ডিএ দিতেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। অর্থাৎ রাজ্যকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে এমন কোনও নিয়ম নেই। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সরকারি কর্মচারীর করা মামলায় ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্য সরকারকে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ ছিল, আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট (6th Pay commission) প্রকাশ করতে হবে। মনে করা হচ্ছে সেই নির্দেশ মেনেই এই রিপোর্ট সামনে আনা হল।
আরও পড়ুন: ‘টাকা চাই না, মেয়েকে ফেরাতে পারবেন?’ তৃণমূল বিধায়কের টাকার খাম ফেরালেন কালীগঞ্জের তামান্নার মা
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। ২৭ জুনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার কমপক্ষে ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামীকালই তার সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তার আগে ষষ্ঠ পে কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে রাজ্য।