বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্কুলের মিড ডে মিলেও (Mid Day Meal) ধর্মীয় বিভেদ! সংখ্যাগুরু এবং সংখালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভিন্ন রাঁধুনি, ভিন্ন বাসন থেকে খাবার জায়গা পর্যন্ত আলাদা রয়েছে। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ ব্লকের নাদনঘাট থানা এলাকার কিশোরীগঞ্জ মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। বর্ধমানের জেলাশাসক এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। বৈঠকে দুই সম্প্রদায়ের রাঁধুনিদের একসঙ্গে বসে রান্না করার নির্দেশ দেওয়া হলেও তাতে খুশি নন অভিভাবকদের একাংশ।
স্কুলের মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) ধর্মীয় বিভেদ নিয়ে বিতর্ক
উক্ত স্কুলে ধর্ম অনুযায়ী রাঁধুনি থেকে শুরু করে থালা বাসন, খাওয়ার জায়গা সবই আলাদা। একথা কানে উঠতেই মঙ্গলবার তদন্তের নির্দেশ দিয়ছিলেন জেলাশাসক আয়েশা রানি। আর বুধবার ব্লক প্রশশাসষের তরফে একটি প্রতিনিধি দল পৌঁছায় স্কুলে। সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা।
একসঙ্গে রান্না করার নির্দেশ: ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জয়েন্ট বিডিও, আইসি, ব্লকের মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) দায়িত্বে থাকা আধিকারিক, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান, উপ প্রধান এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পাশাপাশি অভিভাবকরাও যোগ দিয়েছিলেন ওই বৈঠকে। বৈঠক শেষে পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়ে দেন, স্কুলের মিড ডে মিল ধর্মের ভিত্তিতে আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করা যাবে না। সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য আলাদা ভাবে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) রান্না করা যাবে না।
আরো পড়ুন : দু বছর পূর্তির আগেই বড় ধাক্কা, দর্শকদের চমকে দিয়ে আচমকাই থামছে এই সিরিয়ালের পথচলা
কী বলছেন অভিভাবকরা: তিনি বলেন, দুই সম্প্রদায়ের রাঁধুনিকেই একসঙ্গে বসে রান্না করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় প্রাচীর তোলা যাবে না। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদেরও একথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পঞ্চায়েত প্রধান। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও বলেন, মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) ধর্মীয় বিভেদ ঘুচে যাওয়াতে তিনি খুশি। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে অভিভাবকদের একাংশের মধ্যে দেখা গিয়েছে বিতর্ক।
আরো পড়ুন : শুভেন্দুর পক্ষেই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট, আপাতত স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা
অভিভাবকদের অনেকেই এখনো দ্বিধাবিভক্ত। কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, যে ধর্মের রাঁধুনিই রান্না করুক না কেন, তাতে তাঁদের আপত্তি নেই। আবার কেউ কেউ বলেছেন, আলাদা ভাবে রান্না না হলে তাঁদের সন্তানরা মিড ডে মিল খাবে না। অভিভাবকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মাঝে স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনি সোনালি মজুমদার এবং গেনো বিবি জানান, বুধবার একসঙ্গেই রান্নার কাজ করা হয়েছে। একসঙ্গেই মিলেমিশে কাজ করতে চান তাঁরা।