বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছাব্বিশের ভোটের আগে ঘর গোছাতে শুরু করেছে তৃণমূল (Trinamool Congress), বিজেপি (BJP)। সেই সঙ্গেই শাসক-বিরোধীর মধ্যে শুরু হয়েছে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণের পালা। সম্প্রতি সাতগাছিয়ায় দলীয় সভা থেকে বিজেপিকে একহাত নেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দাবি করেন, ছাব্বিশের নির্বাচনে পঞ্চাশের কম আসনে আটকে যাবে পদ্ম শিবির। এবার তার পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সল্টলেকের রাজ্য বিজেপি দফতরে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে এই নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
কালীগঞ্জ ইস্যুতেও মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)
এদিন রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পদ্ম ব্রিগেডের রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ। ছাব্বিশের ভোটে বিজেপির ফলাফল নিয়ে অভিষেকের ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ সম্বন্ধে তিনি বলেন, উনি তো জ্যোতিষী নন, আমিও নই। পঞ্চাশের নীচে কাদেরটা নেমে যায় দেখা যাক।
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর উদাহরণ টেনে সুকান্ত বলেন, ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর মনে হয়েছিল, ‘ইন্দিরা ইজ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইজ ইন্দিরা’। এরপর এখন কংগ্রেসের কী অবস্থা দেখাই যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ছিটকে গেল ফুলকি, তিন নম্বরে তিন মেগার লড়াই! বেঙ্গল টপারের নামেও বড় চমক
এদিন কালীগঞ্জে (Kaliganj) নিহত নাবালিকা তামান্না খাতুনের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও মুখ খোলেন বিজেপি সাংসদ। ওই পরিবারের খুনের আশঙ্কায় নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তিনি। সুকান্তর কথায়, লাঠিধারী একজন কনস্টেবলকে বসিয়ে রেখে দিলে হবে না। পরিবারের জন্য সশস্ত্র নিরাপত্তা দাবি করছি।
তামান্নার বাড়িতে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের টাকার খাম হাতে যাওয়া নিয়েও মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত বলেন, টাকা দিয়ে পরিবারকে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর টাকা খুব প্রিয়, তবে সবার নয়। সবাই টাকায় বিক্রি হয়ে যায় না। এদিকে হুমায়ুন গতকাল দাবি করেন, দলের তরফ থেকে নয়, বরং একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের তরফ থেকে তামান্নার পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে এসেছিলেন তিনি।
কালীগঞ্জে নিহত এই নাবালিকার মৃত্যুতে গত তিনদিন পাঁচজনের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) এদিন বলেন, পুলিশ দুষ্কৃতী কেন লিখেছে? তৃণমূল কর্মী লেখা উচিত। ২৪ জনকে গ্রেফতার করে খুনের জন্য ফাঁসি দেওয়া উচিত।