দলকে না জানিয়ে টাকা দিতে যাওয়ার অভিযোগ, নিহত তামান্নার ইস্যুতে হুমায়ুন কবিরকে শোকজ তৃণমূলের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিধানসভা উপ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনই কালীগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুতে তোলপাড় বাংলার রাজনৈতিক মহল। তৃণমূলের বিজয় মিছিলে থেকে ছোড়া বোমায় কালীগঞ্জের মোলান্দি গ্রামে নাবালিকা তামান্না খাতুনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে যখন বিতর্ক তুঙ্গে, তখনই নিহত নাবালিকার বাড়িতে টাকা দিতে যাওয়ায় বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে (Humayun Kabir) শোকজ করল তৃণমূল। ৩ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে তাঁকে।

নিহত তামান্নার মাকে টাকা দিতে যান হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir)

বুধবার নিহত তামান্নার বাড়িতে যান ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir)। যে গাড়িতে করে তিনি পৌঁছান তার সামনে ‘প্রেরণা’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম লেখা ছিল। নিহত শিশুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা সাবিনা ইয়াসমিনের হাতে একটি টাকা ভর্তি খাম তুলে দিতে গিয়ে তিনি বলেন, মানুষ হিসেবে সেখানে গিয়েছেন।

প্রত্যাখ্যান করেন তামান্নার মা: যদিও টাকার কথা শুনেই তা প্রত্যাখ্যান করেন নিহত তামান্নার মা। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁর জমি রয়েছে। টাকা দিয়ে কী করবেন? তিনি দোষীদের ফাঁসি চান। পুলিশ এখনো সবাইকে গ্রেফতার করেনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে পুরো ঘটনাটি লাইভ সম্প্রচার হয় সংবাদ মাধ্যমে।

আরো পড়ুন : আবেদন চলুক, কিন্তু ক্যাটেগরি উল্লেখ নয়, OBC মামলায় ভর্তির ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপে নারাজ হাইকোর্ট

বিধায়ককে শোকজ দলের: এরপরেই ওঠে সমালোচনার ঝড়। হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir) যদিও দাবি করেন, তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সন্তানের মৃত্যুতে একজন শোকস্তব্ধ, দিশেহারা মাকে কীভাবে একজন তৃণমূল বিধায়ক টাকা দিতে গেলেন? এমনকি এও অভিযোগ উঠছে, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আড়ালে নিহত শিশুর পরিবারকে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে শাসক দল। সমালোচনা শুরু হতেই ডেবরার বিধায়ককে শোকজ করে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলকে না জানিয়ে কেন তামান্নার মাকে টাকা দিতে গিয়েছিলেন, তার জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁকে তিন দিনের মধ্যে।

আরো পড়ুন : রথের মেলায় হিন্দু বাদে বাকিদের প্রবেশ নিষেধ! মমতাকে একহাত নিয়ে পালটা হুঙ্কার শুভেন্দুর

এদিকে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ বলেন, টাকা দিয়ে আগেও আক্রান্তের পরিবারের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। আরজিকরের নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা মা অভিযোগ করেছিলেন, মেয়ের মৃতদেহের সামনে পুলিশ টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। তামান্নার ঘটনাতেও হুমায়ুন কবিরকে তৃণমূলই পাঠিয়েছে। এখন শোকজ করে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।