রাজীব মুখার্জী, হাওড়া- অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে শুরু করেছে হাওড়ায় জোমাটোর ৪০০ ডেলিভারী কর্মীরা। কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের ধর্মীয় ভাবনায় আঘাত করছে কোম্পানি। তাদের দাবি হাওড়াতে জোমাটোর যারা খাবার বিলি করেন তাদের মধ্যে অনেকে হিন্দু ও মুসলিম উভয়েই আছে। কোম্পানির নতুন নীতি কোনোভাবেই কোনো অর্ডার ফেরানো যাবে না।
সম্প্রতি বেশ কিছু রেস্টুরেন্টের সাথে কোম্পানি চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যারা বিফ খাবার বানায়। এখন সেই খাবার তাদের ব্যাগে করে নিয়ে যেতে হয়। কোনো হিন্দু কর্মীর কাছে এটা শোভনীয় নয়। সেই ব্যাগ তারা বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে পূজাপাঠ হয়। একই ভাবে কিছু রেস্টুরেন্টে শুয়োরের মাংস যুক্ত খাবারের অর্ডার নিতে হয়।
সেই অর্ডার কোনো মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আপত্তিকর। কিন্তু কোম্পানি তাদের কোনো কথা শুনতে রাজি নয়। কোম্পানির থেকে তাদেরকে চাপ দেওয়া হচ্ছে এভাবেই কাজ করার জন্য। সম্প্রতি কয়েকজনের নামে গোলাবাড়ি থানায় ডাইরি অব্দি করা হয়েছে।
পাশাপাশি তাদের আরো অভিযোগ কোম্পানি তাদের কাউকে কোনো বৈধ পরিচয় পত্র দেয় নি, দেয় না কোনো পিএফ, গ্রাচুইটি। নূন্যতম মাস মাইনেও তারা পান না। তাদের আরো অভিযোগ যখন কোম্পানি চালু হয়েছিল তাদের খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ ভাতা ছিল ১০০ টাকা।
সেই ভাতা কমে কমে এখন ২৫ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। অতীতে ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করে একজন ১০০০ টাকা রোজগার করতে পারতো এখন সেটা এসে দাঁড়িয়েছে ২৫০-৩৫০ টাকায়। তাদের দাবি কোম্পানিকে অবিলম্বে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের নীতি থেকে সরে আসতে হবে। পাশাপাশি তাদের জন্য বৈধ পরিচয়পত্র, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তাদের দাবি পূরণ না হওয়া অব্দি তারা এভাবেই হরতাল চালিয়ে যাবেন।
প্রসঙ্গত কিছু দিন আগেই হিন্দু ছাড়া অন্য কোনো ধর্মের মানুষের থেকে খাবার নিতে অস্বীকার করার ঘটনা ঘটেছিল। অর্ডার যিনি করেছিলেন তিনি কোম্পানি কে জানিয়েছিলেন কোনো হিন্দুর থেকেই তার খাবার ডেলিভারি করাতে। সেই ঘটনায় কোম্পানি এই আবদার কে নস্যাৎ করে জানিয়েছিল খাবারের কোনো ধর্ম নেই। খাবার নিজেই একটি ধর্ম। হাওড়াতে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটে জোমাটো কি পদক্ষেপ নেয় সেই নিয়ে এই কর্মীরাও অপেক্ষা করছেন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা