মাত্র কয়েকদিন আগে কাশ্মীর থেকে ধারা 370 তুলে কাশ্মীরকে একেবারে শান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছে ভারতীয় সেনা। তবে এশিয়ার আরো একটা বড়ো দেশ চীনে এখন স্থিতি টালমাটাল হয়ে উঠেছে। হংকং এখন তার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। চীনের অধিকৃত অঞ্চল হংকংয়ে পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। কাল হংকং তে ১০০০ এর বেশি বিমান বাতিল হয়েছে এবং হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি স্বাধীনতার সংগ্রামীরা দখল করে নিয়েছে। স্বাধীনতার দাবিতে হংকংয়ের সাংগ্রামকারীদের নিয়ন্ত্রণের জন্যও চীন তার সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছে এবং বিপুল সংখ্যক চীনা সেনা হংকংয়ে প্রবেশ করেছে।
বেশকিছু সময় ধরে হং কং চীনের শাসন থেকে মুক্তির দাবি তুলেছে। ২ দিন আগেই চীনের পতাকাকে তুলে জলে ফেলে দেওয়ার খবর সামনে এসেছিল। এই ঘটনার পর থেকে, হংকংয়ে স্বাধীনতার সংগ্রাম তীব্র হয় এবং 12 আগস্ট চীন তার সেনাবাহিনী হংকংয়ে প্রেরণ করে। পুলিশ হংকং এর সংগ্রামীদের উপর প্রচুর অত্যাচার চালাচ্ছে বলে খবর সামনে এসেছে। হংকংয়ে চাইনিজ আর্মিতে প্রবেশের ফলে জনগণের ধৈর্য আরও খারাপ হয়ে যায় এবং হংকং বিমানবন্দরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
People in #HongKong’s Causeway Bay watching street clashes live on the Kowloon side of the Harbour in Sham Shui Po. #China pic.twitter.com/iRizbxoeNt
— Stephen McDonell (@StephenMcDonell) August 11, 2019
লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন হংকংয়ের রাস্তায় নেমে চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে নেমে পড়েছে। চীনা পুলিশ এবং হংকংয়ের লোকজনও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, যাতে বহু বেসামরিক লোক আহত হয়েছে, এটি নিয়ে হংকংয়ে প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে। হংকংয়ে গত কয়েক দিন ধরে চীনের বিরুদ্ধে প্রচন্ড ক্ষোভ রয়েছে। এমনও খবর পাওয়া গেছে যে অনেক লোক হংকংয়ে আমেরিকান পতাকাও দোলাচ্ছে এবং হংকংয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার দাবি করছে, হংকংয়ে চায়না আর্মি প্রেরণ করে সংগ্রামীদের দমন করার চেষ্টা করছে। এশিয়ার পরিস্থিতি এখন যেভাবে বদলাচ্ছে তার দিকে নজর রয়েছে সমস্ত আন্তর্জাতিক মিডিয়ার।