বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যখন কয়েকটি রাজ পরিবার আর কিছু মানুষ ভগবান শ্রী রাম এর বংশধর হওয়ার দাবি করছেন। তখন আরেকদিকে জয়পুর মিউজিয়াম থেকে অযোধ্যার প্রাচীন নকশা পাওয়ার খবর সামনে এলো। এই নকশা গুলোতে ভগবান রামের নগরী অযোধ্যার সমস্ত তথ্য আছে। ওই নকশাতে অযোধ্যা নগরে থাকা ভগবান রাম এর মহল এবং বাকি ব্যাবস্থাপনা নিয়ে অনেক রকম দাবি করা হচ্ছে।
রাজস্থানের মেবার রাজ পরিবারের মহেন্দ্র সিং মেবার দাবি করেছিলেন যে, মেবার রাজ পরিবার ভগবান রামের পুত্র লব এর বংশধর। মেবারের প্রাক্তন রাজকুমার লক্ষ্যরাজ সিং মেবার দাবি করে বলেন, কর্নেল জেমস টড এর ১৮২৯ সালে লেখা পুস্তক ‘Annals and Antiquities of Rajasthan“ এ লিখেছিলেন যে, শ্রীরাম রাজধানী অযোধ্যাতে ছিল আর ওনার পুত্র লব লাহোর বানিয়েছিলেন। এরপর লবের বংশধর গুজরাটের রাস্তা ধরে মেবারে এসে বসবাস করেন। সেখানে এসে সিসোদিয়া রাজ্যের স্থাপনা করেন ওনারা।
প্রাক্তন রাজকুমার লক্ষ্যরাজ মেবার দাবি করে বলেম মেবারের রাজ প্রতীক হল সূর্য। শ্রীরামও ভগবান শিবের উপাসক ছিলেন, আর মেবার পরিবারও শিবের উপাসক। এটাই আজ মেবার রাজ পরিবারের প্রভু শ্রী রাম এর বংশধর হওয়ার দাবি প্রমাণ করে। রাজস্থানের বিজেপি সাংসদ দিয়া কুমারি দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন যে, উনি রামের বংশধর। আর প্রভু শ্রীরামের পুত্র কুশ এর থেকে ওনাদের রাজ পরিবার শুরু হয়। আরেকদিকে করনি সেনার প্রধান লোকেন্দ্র কালবী জয়পুরের প্রাক্তন রাজকুমারি দিয়া কুমারীর সমর্থন করে বলেন, উনি কুশ এর বংশধর আর আমি লব এর বংশধর। যদিও উনি এটা বলেছিলেন যে, এই তর্ক রামের বংশধরদের নিয়ে না, এটা রাম জন্মভূমি নিয়ে।
ভগবান রামের বংশধর হওয়ার দাবি দেশের অনেক যায়গা থেকেই হচ্ছে। যদিও অযোধ্যাতে দিনরাত যারা রামকথা শোনান, তাঁরা বলছেন যে, ভগবান রামের বংশধর আছে ঠিকই, কিন্তু সেটা দাবি করলেই হবেনা, তাঁদের প্রমাণও করতে হবে। রাম জন্মভূমির প্রধান পূজারী সত্যেন্দ্র দাস বলেন, ‘দেখুন ভগবান রাম ১১ হাজার সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন। এরপর তিনি পরম ধামে চলে যান। পরম ধামে যাওয়ার আগে তিনি নিজের সাম্রাজ্য ওনার পুত্র লব আর কুশকে দিয়ে যান। রামের প্রতিটি ভাইয়ের দুটি করে পুত্র সন্তান ছিল। সবারই দুটি করে ছেলে ছিল, আর তাঁদের বংশও আছে। কিন্তু সেটা প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁর কোন বংশের।