গোবিন্দ দেবনাথ, আগরতলা, ১৪ আগস্ট
শুভ্রতায় ভরা জলরাশি ঘেরা ‘নীরমহল’। ১৯৩০ সালে ত্রিপুরার শেষ মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য দেববর্মণ বাহাদুর এই ‘নীরমহল’ স্থাপনা করেন। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা শহর থেকে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় গেট, কমলাসাগর গেট, বিশালগড়, সিপাহীজালা হয়ে পাহাড়ী পথ, চা বাগান, রাবার বাগান এর মধ্য দিয়ে ঘন্টা দু’এক এর মধ্যেই পৌঁছামো যায় মেলাঘর বাজারে। মেলাঘর থেকে অল্প কিছুক্ষন পায়ে হেঁটে যেতেই চোখে পরে রৌদ্রসাগর। রৌদ্রসাগরের দিকে চোখ মেলে তাকাতেই দেখা যায় জলের মধ্যখানে দাঁড়িয়ে থাকা ‘নীরমহল’।
সারা ভারতে জলের মধ্যে প্রাসাদ এরকম দুইটি স্থাপনা রয়েছে। প্রথমটি রাজস্থানের ‘জলমহল’। ত্রিপুরার শেষ মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য দেববর্মণ বাহাদুর এর গ্রীষ্মকালীন বাসবভন ছিল এই ‘নীরমহল’।
জানা যায় ১৯২১ সালে মহারাজা ব্রিটিশ কোম্পানী মার্টিন এন্ড বার্নিসকে দায়িত্ব দেন এই প্রাসাদটি তৈরি করে দেওয়ার জন্য যা তৈরি করতে ৯ বছর সময় লেগেছিল। মহারাজার এই মহলের মধ্যে মোঘল, মুসলিম ও হিন্দু ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নিদর্শণ পাওয়া যায়। এই ভবনটিতে ২ টি অংশ রয়েছে।
পশ্চিম পাশের অংশটি প্রাসাদের অন্দর মহল, যেটি শুধু রাজ পরিবারের সদস্যদের জন্য বরাদ্দ ছিল এবং পূর্ব পাশের অংশটি ছিল নাটক, যাত্রা ও নৃত্য পরিবেশনের জন্য। এই প্রাসাদটিতে সর্বমোট ২৪ টি কক্ষ রয়েছে। ধারনা করা যায় মহারাজা ঐ সময় যন্ত্রচালিত নৌযানে রাজঘাট থেকে ‘নীরমহল’ এ যেতেন।