ভারতে বিশ্বাসঘাতকের কোনো অভাব নেই। একবার এক বিদ্বান ব্যাক্তি বলেছিলেন, পাকিস্তানের থেকে বেশি পাকিস্তানি ভারতে রয়েছে। উক্তিটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং বর্তমান সময়ে এর প্রমাণও মিলে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ধারা 370 বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়েছে। এরফলে ভারতদের অখণ্ডতা আরো মজবুত হয়েছে। একই সাথে এবার থেকে অন্য রাজ্যের লোকজন জম্মু-কাশ্মীরে গিয়ে ব্যাবসা করতে পারবে, জমি কিনতে পারবে। একই সাথে জম্মু-কাশ্মীরের লোকজনও অনেক সুযোগ সুবিধা পাবে। যা থেকে এতদিন তারা বঞ্চিত হতো।
এবার জম্মু-কাশ্মীরের জমির দামও কয়েকগুন বেড়ে যাবে। তবে 370 বিলুপ্ত হওয়ায় দেশদ্রোহীদের চরম সমস্যায় সম্মুখীন হতে হচ্ছে। 370 বিলুপ্ত হওয়ায় জম্মু-কাশ্মীর থেকে আতঙ্কবাদ এবার ধীরে ধীরে সমাপ্ত হয়ে যাবে। এই কারণে এক দেশদ্রোহী আদালতে পিটিশন দায়ের করেছিল 370 অপসারণের বিরুদ্ধে।
তার দাবি ছিল, 370 অপসারণকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে দেওয়া হোক। আবার যেন জম্মু-কাশ্মীরে 370 লাগু করা হয় এই দাবি ছিল সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা ওই ব্যক্তির।
CJI Ranjan Gogoi says, "I read your petition for half an hour but could not understand what is this petition about." https://t.co/F6hzWshfWU
— ANI (@ANI) August 16, 2019
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈই আজ আবেদনটি পড়েন এবং আবেদনকারীকে সবার সামনে ধমক দেন। রঞ্জন গোগোই আবেদনকারীকে বলেছিলেন – আমি ৩০ মিনিট আপনার আবেদনটি পড়েছি তবে এই আবেদনটি কী এবং আমি এই পিটিশন থেকে আপনি কী চান তা বুঝতে পারলাম না। এর আগে, কংগ্রেসের জামাতা রবার্ট ভাদ্রার আত্মীয় তাহসিন পুনাওয়ালাও ধারা ৩ 37০ পুনঃ-প্রয়োগের জন্য আবেদন করেছিলেন, আদালত তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্তও করেছিল। অভিযোগ উঠছে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা পাকিস্তানের হয়ে দালালি করছে। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ট ব্যাক্তিরা আদালতে গিয়ে 370 অপসারণের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করেছে বলে দাবি।