বাংলা হান্ট ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণপ্রহার আটকাতে রূপরেখা তৈরীর নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বিধান সভায় আসছে গণপ্রহার রোখার বিল।
পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটের টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে জেলায়। এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলার জন্য পৃথক নোডাল অফিসার তৈরি করেছে রাজ্য| জেলা পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেট গুলিকে এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলার আওতায় আনা হয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন জায়গায় গণপ্রহারের ঘটনা ঘটেছে| কলকাতার কাশীপুর, কালীঘাটেও এরকম ঘটনা হয়েছে| সেই কারণেইএই ধরনের উদ্যোগ নবান্ন নিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর|
কোনো অঞ্চলে যদি গণপ্রহারের ঘটনা ঘটে থাকে অথবা আশঙ্কা থাকে, সেই অঞ্চলের নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন|২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল গণপ্রহার আটকাতে সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে রাজ্যগুলিকে। বিষয়টিকে মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত।
রাজস্থানে গণপ্রহার আটকাতে কড়া আইন নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেয়েলোট। সূত্রের খবর, সেই আইনের সবটাই রাজ্যের এই বিলের প্রস্তাবে রয়েছে।
গণ পিটুনি বিলে যা থাকছে , সেটা হলো,
#যদি কেউ গুরুতর আহত হয় তবে দোষী প্রমাণিত হলে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন কারাবাস।
#গণপিটুনি বিলে কেউ আহত হলে দোষী ব্যাক্তি ৩ বছরে জেল এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানা বা শুধু ৩ বছরের জেল অথবা ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হবে।
#যদি কেউ নিহত হয় বা খুন করার জন্য মারা হয়েছে বলে মনে হয় তাহলে জরিমানা বেড়ে হবে ৫ লক্ষ টাকা অথবা সারা জীবনের জেল।
২০১৮ সালের ১৭ জুলাই শীর্ষ আদালত একটি রায় দিয়েছিল, তার ভিত্তিতে সব রাজ্যকেই আইন তৈরি করতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই রাজস্থান সরকার সেই নিয়ে গণপিটুনি আইন করেছে। এবার সেই পথে হাটছে পশ্চিমবঙ্গ।