বিশ্বের সবথেকে সহনশীল ও উদারবাদী জাতি- হিন্দু জাতি। আর হিন্দুদের উদারতার সুযোগ নিয়ে বহু যুগ থেকে হিন্দু বিরোধীরা হিন্দু সংস্কৃতি ও হিন্দুদের সনাতন ধর্মকে নষ্ট করার প্রয়াস করে। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে হিন্দুরা তাদের অস্তিত নিয়ে লাগাতর সংগ্রাম চালাচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অন্ধ্রপ্রদেশের সরকার তিরুমালা মন্দির নিয়ে দুর্দান্ত সিধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার অন্ধ্রপ্রদেশের জগন মোহন রেড্ডি সরকার তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থনমের কর্মচারীদের জন্য একটি নতুন বিধি জারি করেছে। নিয়ম অনুসারে, মন্দিরের আস্থায় কর্মরত অ-হিন্দু বা যারা হিন্দু ধর্ম ব্যতীত অন্য যে কোনও ধর্ম গ্রহণ করেছেন, তাদের চাকরি ছেড়ে দিতে হবে। এই কর্মীরা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী হিন্দু মন্দির তিরুমালা পরিচালনা করেন।
রাজ্যের মুখ্যসচিব এলভি সুব্রহ্মণিয়াম বলেছিলেন যে মন্দিরের আস্থায় কর্মরত অনেক কর্মচারী আছেন যারা হিন্দু ধর্ম বাদে অন্য কোনও ধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন। যদিও এটি তাঁর নির্বাচন। তাদের ধৰ্ম পরিবর্তন থেকে কেউ বাধা দিতে পারে না, তবুও তিরুপতি মন্দিরে এ জাতীয় লোকেরা আর কাজ করতে পারবেন না। এমন পরিস্থিতিতে এই কর্মচারীদের উচিত সাহসের সাথে এগিয়ে এসে পদত্যাগ করা।
Finally..! A welcome step from AP CM .
AP Govt bans non-Hindus from working in Tirumala temple and Srisailam temple. 👏🙏
Dear, @CMOTamilNadu Pls take the same action in TN and remove all the non-Hindus people from temples. pic.twitter.com/rNC62QjZaj
— KY (@kyyadhu) August 28, 2019
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, অনুসারে, তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমে মোট ৪৮ জন অ-হিন্দু কর্মচারী কাজ করছেন। কিছু সংস্থা তিরুমালায় ক্রমবর্ধমান রূপান্তর সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিছু দিন পরে, এলভি সুব্রমনিয়াম মন্দিরটি পরিদর্শন করলেন এবং একসাথে কাজ করা সমস্ত কর্মচারীদের চেক করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আসলে অনেকে অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে পবিত্রতা নষ্ট করার চেষ্টা করতো বলে অভিযোগ আসতো। অনেক সময় মন্দিরের সংস্কৃতি পরিবর্তন করার চেষ্টারও অভিযোগ সামনে আসতো। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সরকার কঠোর সিধান্ত নিয়ে ওই মন্দিরে অহিন্দুদের চাকরির উপর নিষেধাজ্ঞা লাগিয়েছেন।