মিডডে মিলের ‘ডিম” আর সরকারি কর্মীদের ‘ডিএ” বাঁচিয়ে, পুজো কমিটিকে ২৫ হাজার করে অনুদান মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় উৎসব হল দুর্গা পুজা। শুধু পশ্চিমবঙ্গেরই না, গোটা বিশ্বের বাঙালিদের কাছেই দুর্গা পুজা সবথেকে বড় উৎসব। এবার সেই বাঙালিদের প্রধান পুজাতে রাজনৈতিক ছাপ পড়া শুরু করেছে। কিছুদিন আগে দুর্গা প্রতিমাকে পদ্ম ফুলের উপর বসানর কারণে শিল্পিকে ছাটাই করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই। কারণ পদ্ম ফুল বিজেপির প্রতীক। আর এবার ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে, হারিয়ে যাওয়া হিন্দু ভোটকে আবার নিজেদের দিকে টানতে অভিনব প্রন্থা অবলম্বন করছে শাসকদল তৃণমূল।

রিপোর্ট অনুযায়ী, তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী এবার দুর্গা পুজো কমিটি গুলোকে ২৫ হাজার করে টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। গত বছর এই টাকার পরিমাণ ছিল ১০ হাজার। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে বিপর্যস্ত হয়ে এবার টাকার পরিমাণ দ্বিগুণের বেশি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শুধু তাই নয়, দুর্গা পুজো কমিটি গুলোর বিদ্যুৎ বিলে ২৫  শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কলকাতার নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটির গুলোর সাথে বৈঠকে এই ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পর উনি আবার এটাও বলে দেন যে, আমি দুগা পুজো নিয়ে কোন রাজনীতি হতে দেবনা। এই বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহেই দুর্গা পুজো হতে চলেছে। আর হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এই ঘোষণা করে দেন। তবে গত বছর যেসব দুর্গা পুজো কমিটি গুলোর হাতে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান তুলে দেওয়া হয়েছিল, সেসব কমিটি গুলোর প্রায় অর্ধেক মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছিল বলে জানা যায়।

এই বছরের দুর্গা পুজো কমিটি গুলোর পিছনে সরকার ৭০ কোটি টাকা খরচ কোর্টে চলেছে। যেটা গত বছরের ২৮ কোটি টাকার খরচের প্রায় তিন গুন। একদিকে রাজ্যের স্কুল গুলোতে পয়সার অভাবে মিডডে মিলে ডিম এর যায়গায় নুন-ভাত আর ফ্যানা ভাত দেওয়া হচ্ছে। আবার রাজ্যের শিক্ষকেরা বেতন বৃদ্ধির দাবি নিয়ে অনশন করছেন। এমনকি রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলন করছেন। তখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে টাকা না থাকলেও, শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্ক বজায় রাখার জন্য দুর্গা পুজো কমিটি গুলোকে ৭০ কোটি টাকা খয়রাতি দিতে চলেছেন।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর