সমস্ত রাজ্যবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ সুদৃঢ় করতে এবং সাধারণ মানুষের সমস্ত অভিযোগ জানানোর জন্য রাজ্য সরকারের অভিনব একটি পরিষেবা হল দিদিকে বলো। ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনে দিদিকে বলো-তে একটি ফোন নম্বর, হোয়াট্স অ্যাপ নম্বর ও ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে শাসক দলের তরফ থেকে। চালু হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ সমস্যার কথা জানানো হয় সেই নম্বরে। এবং অনেকেই সেখান থেকে সাহায্য পেয়েছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম ভট্টাচার্য।
একসময় তিনি ছিলেন সবুজ-মেরুনের অন্যতম দক্ষ খেলোয়ার। অনেক বড় বড় ম্যাচে সাফল্যও এসেছে তাঁর দৌলতে। কিন্তু আজ সেসব অতীত। ময়দানের সঙ্গও তাঁর সেভাবে যোগাযোগ নেই। সেভাবে পরিচিতিও নেই। আজ তিনি চরম দারিদ্র্যতার মুখোমুখি। জীবনে আর্থিক অনটনকে সঙ্গী করেই এগোচ্ছেনন এরই মধ্যে স্ত্রীর কঠিন ব্যাধি। যার খরচে পৈতৃক ভিটে অবধি খুঁইয়েছেন। কিন্তু তাতেও রোগের খরচ জোগাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে। অবশেষে বিপদের সময় দিদিকে বলো ফোন নম্বরে ফোন করে মিলল আর্থিক সাহায্য।
স্ত্রীর রোগের চিকিত্সার জন্য আর্থিক সাহায্য করলেন রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতেও তাঁকে আর্থিক দিক থেকে সাহায্য করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই স্ত্রীর চিকিত্সার জন্য এবং ওষুধের খরচ তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে।রাজ্য সরকারের এই পরিষেবায় সাহায্য পেয়ে যথেষ্টই খুশি গৌতম ভট্টাচার্য। স্ত্রীর চিকিত্সার জন্য প্রাথমিক পর্বে সাহায্য পেলেও দীর্ঘসময় তাঁকে ধার দেনা করতে হয়েছে। তবে এবার পাকাপাকি ভাবে ব্যবস্থা হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।