গনেশ চতুর্দশী নিয়ে পদ্ম শিবিরে সাজ সাজো রব

 

অমিত সরকার

গণেশ হিন্দুদের এক অতিগুরুত্বপূর্ণ দেবতা। ভারতে সর্ব্বত্র ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী থেকে অনন্ত চতুর্দশী পর্যন্ত দশ দিন ধরে ধূমধাম সহকারে গণেশ উৎসব পালন করা হয় ভারতের বাইরে নেপাল শ্রীলঙ্কা, ফিজি, জাভা থাইল্যান্ডের গনেশ পূজা হয়।

মূলত গনেশের দন্ডায়মান উপবিষ্ট দুই ধরনের বিগ্রহ দেখা যায় দণ্ডায়মান বিগ্রহ গুলি কোনটির নৃত্যরত ও কোনটির দিবা ত্রিভঙ্গ আসনের।

ভাদ্র মাসের শুক্লা চতুর্থী তে গণেশের জন্ম। বৈদিক জ্যোতিষী গণনা অনুযায়ী দিনের মধ্যভাগ হলো গণেশ পূজার প্রশস্ত সময় কথিত আছে মধ্যান্য কালে গণেশের জন্ম হয় গনেশ পূজা।

উৎসবের চারটি পর্ব আছে যথা প্রাণপ্রতিষ্ঠা, ষোড়শপ্রচারপূজা, উত্তর পূজা, বিসর্জন।

শাস্ত্রীয় পুরাণে গণেশ গণপতির অসংখ্য নাম রয়েছে যেমন বাল গণপতি, বীর গণপতি গণপতি যোগ গণপতি, গণপতি চিন্তামণি, গণপতি ইত্যাদি।

image 2

গণেশের জন্ম নিয়ে বেশ কয়েকটি পৌরাণিক কাহিনী আছে শিব পুরাণ অনুসারে স্নান গমনকালে একবার পার্বতী নিজ দেহের ময়লা দিয়ে একটা পুতুল বানিয়ে তাতে প্রাণ সঞ্চার করে দেন তাকে দরজায় প্রহরী রেখে তিনি স্নান করতে যান কিছুক্ষণ পরে শংকর এসে ঘরে ঢুকতে গেলে সেই বালক তাকে বাধা দেন তখন শিবের অনুচরদের সঙ্গে বালকের তুমুল সংঘর্ষ হয় কোন পক্ষে পরাস্ত হয় না তখন সংকুচিত হয়ে ত্রিশূল এর আঘাতে বালকের মাথা কেটে ফেলেন এতে পার্বতী ক্ষুব্ধ হয়ে সৃষ্টিবিনাশ করতে উদ্যত হলে সকল দেবগন প্রতিশ্রুতি করে তাকে নিরস্ত করেন শিবের আদেশে বিষ্ণু উত্তর দিকে মাথা রেখে নির্ধারিত একটা হাতির মাথা কেটে নিয়ে এলেন তখন রুদ্র শিব হাতির মাথা বালকের সঙ্গে জুড়ে তাকে জীবিত করে দিলেন পার্বতী মাকে কোলে নিয়ে আশীর্বাদ করলেন তুমি সকল দেবতাদের পূজায় অগ্রগণ্য

সম্পর্কিত খবর