আবারও সুর বদল শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত মঙ্গলবার দিল্লীতে শোভন ও বৈশাখীর সঙ্গে মুকুল রায়ে চায়ের আড্ডায় সমস্ত সমাধান মিটে যাওয়ার প্রসঙ্গ উঠলেও। সেই সমস্যা যে সামাধান হয় নি তার প্রমান মিলল কয়েকঘন্টার মধ্যেই। কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই সমস্ত কিছু ভুলে গেলেন শোভন ও বান্ধবী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে শোভন সরাসরি জানান তাঁদের আলচনায় সমস্যা মিটে গেছে এই ভাবনা নাকি ভুল। অর্থাত্ তাঁ বক্তব্য থেকে একেবারেই স্পষ্ট্য যে দেবশ্রী রায় তাঁদের পদ্ম শিবিরে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আগেও তিনি দেবশ্রী রায়ের সঙ্গে একসঙ্গে একদলে কাজ না করতে পারার কথা জানিয়েছিলেন। এবার সেবিষয়ে কোনো কথা না বললেও দলে আছেন তা নিশ্চিত কিন্তু দেবশ্রী নিয়ে তাঁদের আপত্তি তাও স্পষ্ট্য হয়ে গেল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সমস্যা মিটে যাওয়ার কথা জানিয়ে বিজেপির হয়ে গুণগান গেয়েছিলেন।পাশাপাশি তাঁদের বিজেপি ছাড়ার খবর সংবাদমাধ্যমগুলি বাড়িয়ে খবর প্রকাশ করছেনবলেও জানান। এমনকি তাঁদের অভিমান ভেঙে যাওয়ার কথা বলে তাঁদেরদল ছাড়ার পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় মুকুলের সঙ্গে বৈঠকের পর শোভন চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছিলেন ”কিছু সমস্যা হয়েছিল। কথা বললাম, মিটে গিয়েছে।”
আসলে বিজেপির পক্ষ থেকে শোভনকে গুরু দায়িত্ব দিতে রাজী হলেও সেই দায়িত্ব তিনি সেভাবে নিতে রাজী নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন এর আগেন কারণ একটাই দলে যদি দেবশ্রী আসে। এবং বৈশাখীর অপমান তিনি মেনে নেবেন না। তাই রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের দেবশ্রীকে দলে টানা নিয়ে সবুজ সংকেত দেওয়ার পরই কৈলাস বীজয়বর্গীয়র কলকাতার বাড়িতে গিয়ে শোভন ও বৈাশাখী তাঁদের ইস্তফার কথা জানিয়েও এসেছিলেন। তবে দেবশ্রীকে দলে নিয়ে যে বৈশাখী দলের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে এটা বিজেপিও বুঝতে পেরেছে তা প্রমান করতে চাইছে গেরুয়া বাহিনী এমনটাই মনে করছেন রাজযনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।