প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুই দিনের যাত্রায় রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক পৌঁছেছেন। বিমানবন্দরে লোকেরা মোদীকে হাতে তেরঙা নিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। লোকেরা মোদী মোদীর পাশাপাশি ভারত মাতার জয়ের স্লোগানও দিয়েছেন। এখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন এবং আরও একবার বিশ্ব উভয়ের বন্ধুত্বকে দেখতে পাবে।প্রধানমন্ত্রীর এই যাত্রাটি এইজন্যও বিশেষ, কারণ রাশিয়ার পূর্বাঞ্চল পরিদর্শনকারী প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই যাত্রা কেবল কৌশলগত নয়, ব্যবসায়িক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ পুরো বিশ্বে একদিকে বাণিজ্য যুদ্ধতো চলছেই আবার অন্যদিকে পাকিস্তানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কও রয়েছে। এই বৈঠকে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই যাত্রা এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ভারতেও GDP রেটে চলছে। এই মুহূর্তে কেবল ভারতবর্ষই নয়, বিশ্বজুড়েও একই রকম ঘটনা ঘটছে। চীন ও আমেরিকার মধ্যে একটি বাণিজ্য যুদ্ধ চলছে, চীন হংকংয়ের বিষয়টি নিয়ে সমস্যায় পড়েছে এবং ইউরোপ ব্রেসিতে ব্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে, ভারত তার উচ্চতা বাড়াতে এই সুযোগগুলির সদ্ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছে। রাশিয়া এতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে পারে। এই যাত্রায় বাণিজ্য বিষয়েই আলোচনা করা হবে এবং ২০২২ সালের মধ্যে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর লক্ষ্য থাকবে। অর্থাৎ ভারতের GDP রেট বৃদ্ধির বিষয়েও নরেন্দ্র মোদী গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা চালাবেন।
ভারত এবং রাশিয়া বরাবরই বন্ধুত্বের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়টি উঠে এলে রাশিয়া ভারতের সাথে দাঁড়িয়েছিল। পাকিস্তানের নির্দেশে চীন যখন জাতিসংঘ সুরক্ষা কাউন্সিলে (ইউএনএসসি) কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করেছিল, তখন রাশিয়া কেবল সেখানে ভারতকে সমর্থন করেছিল এবং এই বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছিল। রাশিয়া ভারতকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে বর্ণনা করেছিল।