বাংলা হান্ট ডেস্ক : হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই মা জয়া পুরো পরিবার নিয়ে মর্তে হাজির হবেন। আর সে জন্য কে না চায় সুন্দর থাকতে। এই সময় খাওয়া-দাওয়া সারাদিন ঘোরা চুটিয়ে আড্ডা দেওয়ার উপযুক্ত সময়, তাই সবাই চায় বন্ধুদের মধ্যে বা অফিস কলিগদের মধ্যে বা পরিবারের লোকজনের মধ্যে সব দিক দিয়ে নিজেকে শ্রেষ্ঠ দেখাতে। কিন্তু বর্তমান কর্মব্যস্ততার যুগে আলাদা করে নিজের জন্য সময় কোথায়? সারাদিন চাকরি ক্ষেত্র থেকে ছেলের স্কুল সবজায়গায় টেক্কা দেওয়ার পালা। আর বর্তমান সমাজের অঙ্গই হল ফাস্টফুড। চটজলদি তৈরী হয়ে গেলেও এর গুনাগুন নিয়ে আমরা ভাবিনা। ফাস্টফুড খেয়ে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলেও তার অস্তিত্ব আমাদের চোখে পড়ে না, কিন্তু যখন কোনো অনুষ্ঠান আসে তখন ফাস্টফুড আমাদের বাড়তি ওজনের মধ্য দিয়ে তার অস্তিত্ব জানান দিয়ে যায়। তেমনই আমাদের বর্তমান যুগের প্রধান সমস্যা ওজন বৃদ্ধি। আট থেকে আশি স্থূল চেহারার বিস্তার সর্বত্র। ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন লোক বিভিন্ন চেষ্টা করে। ডায়েট ব্যায়াম যোগা কোনোকিছুই বাকি থাকে না।কিন্তু শরীরের মেদ আদৌ ঝরছে কিনা তা বোঝা মুসকিল। তাই শুধু শরীরে মেদ ঝরালেই সমস্যার সমাধান হবে না, সাথে নিজের দৈনন্দিন জীবনে আনতে হবে কিছু পরিবর্তনও। বিজ্ঞান বলে, শুধু খাদ্যাভ্যাসই শরীরের স্থূলতার একমাত্র কারন নয়। তার সাথে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে আপনাকে। আপনার পছন্দের কোনো জিনিস যেমন যত্নের অভাবে জৌলুস হারায় তেমনি আপনার শরীরকেও আপনার পছন্দের জিনিসের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেজন্য প্রস্তুতি নিতে হবে ঘুম থেকে উঠে ভোরবেলা থেকেই।
ভোরবেলা উঠেই নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে নিতে হবে। আর মনে রাখবেন আপনার খাদ্য তালিকা হবে সকালবেলা রাজার মত, দুপুরবেলা প্রজার মত, রাতের বেলা ভিক্ষুকের মত। তাই দিনের শুরুতেই বানিয়ে নিন নিজেকে সুন্দর করে তোলার চার্ট।প্রথমেই মনে রাখবেন ত্বককে সুন্দর রাখতে ত্বকের প্রয়োজন সূর্যের আলো। কারন সূর্যের আলো থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরে ত্বককে উজ্জ্বল করতে ও শারীরবৃত্তীয় কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে ভোরবেলা সূর্যালোক পাওয়া যায় এমন খোলা জায়গায় ব্যায়াম বা যোগা করা উচিত। দ্বিতীয়ত প্রাতঃরাশ করার সময় মনে রাখতে হবে আপনি যে খাবারগুলি খাচ্ছেন সেগুলি যেন প্রোটিন সমৃদ্ধ হয়। কারন সকালবেলার খাদ্যই আমাদের দেহে সারাদিন জ্বালানি হিসাবে কাজ করে। তৃতীয়ত পছন্দের খাবারের তালিকা থেকে তেলেভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। তবে একান্তই যদি গরম লুচি আর আলুরদমের লোভ সম্বরন নাই করতে পারেন তবে দু-একটা উদরস্ত করা যেতেই পারে তবে না যেন অবশ্যই সকালবেলা হয়। কারন সকালের খাবার আমাদের সারাদিনের পরিশ্রমের ফলে হজম হয়ে যায় এবং শরীরে মেদ জমতে দেয় না। চতুর্থত স্নান অবশ্যই ঠান্ডা জলে করবেন।কারন গরম জল শরীরে এনার্জি সংশ্লেষনে বাঁধা দেয়। পঞ্চমত, খাবার যাই খাবেন তা ভালো করে চিবিয়ে সময় নিয়ে খাবেন। তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার ফলে খাবার হজমে ব্যাঘাত ঘটে।
অবশেষে বলি একটা সুন্দর স্বাস্থ্যের জন্য একটা সুন্দর মনের মানুষ মনের মানুষ হতে হয়। তাই নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ রাখুন। দেখবেন আপনার আশেপাশের পরিবেশ সুস্থ থাকলে আপনিও ভালো থাকবেন। তাই পুজোর কদিন নয় সারাবছর নিজের জন্য সময় বের করে নিজেকে সময় দিন এবং সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, সকলকে ভালো রাখুন এবং স্বাস্থ্যকর পুজো কাটান।