বাংলা হান্ট ডেস্ক: জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। জইশ-এ-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার, জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ, লস্কর-এ-তৈবার জাকিউর রহমান লকভি ও ১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের মূলচক্রী দাউদ ইব্রাহিমকে, বেআইনি গতিবিধি প্রতিরোধ আইনে (ইউএপিএ) সন্ত্রাসবাদি তকমা দিল ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সম্প্রতি ইউপিএ সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে সংসদে। সন্ত্রাস মোকাবিলায় বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। তাই এর আগেও বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই নতুন সংশোধনী আইনের নিরিখে, যেকোনো একজন ব্যক্তিকেও সন্ত্রাসবাদি বলে ঘোষণা করা যাবে। আগে কোনও সংস্থা বা দলকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করা যেত। এই নতুন আইন লাগু হতে না হতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৪ জনকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে নির্দেশিকা জারি করল ইতিমধ্যেই। সূত্রে জানা গেছে, আগামী দিনে আরও অনেকের নাম সন্ত্রাসী তালিকায় তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, দিন দিন বিঘ্নিত হচ্ছে ভারত-পাক সম্পর্ক, ইতিমধ্যেই আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আশায়, শত্রুতার সিঁড়িতে আরো একবার এগিয়ে গেল ভারত-পাকিস্তান। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর সাফ জানান, ‘সন্ত্রাসবাদে খোলাখুলি মদত দেয় পাকিস্তান৷ জঙ্গি সংগঠনগুলিকে তারা আর্থিক সাহায্যও করে৷ পাকিস্তান যতদিন না এগুলো বন্ধ করছে ততদিন সে দেশের সাথে আলোচনার টেবিলে বসার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’
ইতিমধ্যে খানিকটা শান্তি ফিরেছে জম্মু-কাশ্মীরে, কিন্তু সে শান্তি বিঘ্নিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে পাকিস্তান। কয়েক দিন আগেই নিরাপত্তারক্ষীরা গ্রেফতার করেছিল খালিল আহমেদ এবং নাজ়িম খোকর নামে দুই পাক জঙ্গিকে। গ্রেফতারের পর ওদেরকে জেরা করে নিরাপত্তারক্ষীরা, যার ফলে উঠে আসে বেশ কিছু ভয়ানক তথ্য।
সম্প্রতি জানা গেছে কাশ্মীরে বড়সড় হামলা ঘটানোর জন্য কষা হচ্ছে ছক। শুধু তাই নয় এই সমস্ত জঙ্গিদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কই তইবার ঘাঁটিতে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সদ্য আটক হওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সে দেশের সেনাদের সাহায্যেই তারা ভারতে অনুপ্রবেশের সুযোগ পেয়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সমস্ত পাক জঙ্গিরা কাশ্মীর-সহ বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি ও অশান্তি পাকাতেই অনুপ্রবেশ করছে। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের অগ্নিদগ্ধ অবস্থা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট সবই আবার আগের মতন সাধারণ অবস্থায় ফিরছে। এমনকি সরকারি কাজকর্মও চলছে স্বাভাবিক ভাবে।
তবে এ শান্তি যেন সহ্য হচ্ছে না পাকিস্তানের, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত হিংসা ছড়ানো কাজকর্মের মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি জানিয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘেরাটোপে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নয়া দিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তান উস্কানিমূলক মন্তব্য দ্বারা ও জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে।