বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি জম্মু কাশ্মীর থেকে বিলোপ করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। এই অনুচ্ছেদ রদের পর আন্তর্জাতিকস্তরে অভিযোগ করেও সাফল্য পায়নি পাকিস্তান। বিদেশ তো দূরের কথা নিজের দেশেও কোণঠাসা ইমরান খান। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পাকিস্তানের অন্যতম বিরোধী দল মুত্তাহিদা কওয়ামি মুভমেন্টের প্রধান আলতাফ হুসেন বলেন, কাশ্মীর ইস্যু ভারতের একেবারেই অভ্যন্তরীণ মামলা। পাক সেনার সেদেশে কাশ্মীর নিয়ে কোনো বিভ্রান্তিমূলক কাজকর্ম বা মন্তব্য একেবারেই আবশ্যিক নয়।
#WATCH SRINAGAR: Indian Army releases confession video of two Pakistani nationals, who are associated with Lashkar-e-Taiba, and were apprehended on August 21. #JammuAndKashmir pic.twitter.com/J57U3uPZBl
— ANI (@ANI) September 4, 2019
আন্তর্জাতিক মহলে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সেভাবে কোন দাগ কাটতে না পারায় বারবার বিরোধীদের কটাক্ষ তীর বিঁধেছে ইমরানের গায়ে। সেই হতাশায় উপত্যকায় সন্ত্রাসের আগুন ছড়িয়ে অশান্ত করার পরিকল্পনা করেছে ইসলামাবাদ। তা ফাঁস করে দিল লস্কর-এ-তৈবার সন্ত্রাসবাদী।
दो पाकिस्तानी आतंकवादी सेना ने पकड़े, दोनों रावलपिंडी के हैं,लश्करे तैय्यबा ने कश्मीर में शांति भंग करने के लिए भेजा था. बता रहे हैं कि कई और साथी भी हैं. दोनों की भारतीय सेना ने खातिरदारी की है, इन्हें सेना की चाय बहुत पसंद आई.. pic.twitter.com/2VJx35vif5
— krishna mohan mishra (@kmmishratv) September 4, 2019
চিনার কর্পস কমান্ডার লেফট্যানান্ট জেনারেল কেজিএস ধিলোঁ সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন, ২১ অগাস্ট ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের ২ নাগরিককে গ্রেফতার করেছিল। শুধু তাই নয় তারা নিজেদের কথা স্বীকার করেছিল সর্বসমক্ষে।
ভারতীয় সেনার প্রকাশ করা ভিডিওতে, ওই সন্ত্রাসবাদী স্বীকার করে জানিয়েছে পাকিস্তানে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা। সে বলে, ”পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির জলেবিচক থেকে এসেছি। আমার গ্রামের নাম জেবাদান। লস্কর-এ-তৈবার মুজাহিদিন আমি। কাছেরবানে আমাকে ও সঙ্গী নাজিমকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল।”
শুধু তাই নয় এই জঙ্গী আরো জানিয়েছে, একই দিনে আমরা দুজনেই কাজ শুরু করি। ৪-৫ বছর ধরে আমরা একসাথে রয়েছি। সীমান্ত পার হওয়ার পরিকল্পনা করি আমরা।” অন্যজনও স্বীকার করে জানিয়েছে, ”আমি রাওয়ালপিন্ডি থেকে এসেছি। লস্কর-এ-তৈবার সদস্য। পাকিস্তানি সরকারের সহযোগিতায় জম্মু-কাশ্মীরে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে অনুপ্রবেশ করেছি।”
সম্প্রতি জানা গেছে কাশ্মীরে বড়সড় হামলা ঘটানোর জন্য কষা হচ্ছে ছক। শুধু তাই নয় এই সমস্ত জঙ্গিদের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্কই তইবার ঘাঁটিতে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। সদ্য আটক হওয়া ওই দুই জঙ্গি হলেন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে সে দেশের সেনাদের সাহায্যেই তারা ভারতে অনুপ্রবেশের সুযোগ পেয়েছে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সমস্ত পাক জঙ্গিরা কাশ্মীর-সহ বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অশান্তি পাকাতেই অনুপ্রবেশ করছে। বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের অগ্নিদগ্ধ অবস্থা এখন অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। স্কুল-কলেজ, দোকানপাট সবই আবার আগের মতন সাধারণ অবস্থায় ফিরছে। এমনকি সরকারি কাজকর্মও চলছে স্বাভাবিক ভাবে।
তবে এ শান্তি যেন সহ্য হচ্ছে না পাকিস্তানের, গোয়েন্দা সূত্রে খবর মিলেছে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত হিংসা ছড়ানো কাজকর্মের মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি জানিয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘেরাটোপে বর্তমানে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নয়া দিল্লির অভিযোগ, পাকিস্তান উস্কানিমূলক মন্তব্য দ্বারা ও জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে।