বাংলা হান্ট ডেস্ক: বউবাজার এলাকায় জোরকদমে চলছে মেট্রোরেলের কাজ যার জেরে একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যেই৷ আগেই এলাকায় ভেঙে পড়েছিল দু’টি বাড়ি। বুধবারও ভেঙে পড়েছে স্যাকরাপাড়া লেনের দু’টি বাড়ি। শুধু তাই নয়, ফাটল দেখা দেখা দিয়েছে ১৮টি বাড়িতে।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ নয়, পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো রেল সুরঙ্গ তৈরি করে কমপক্ষে ১৪৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে অতি বিপজ্জনক বাড়ির সংখ্যা ৪৪টি। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার পর পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা ওই ৪৪টি বাড়ি ফাঁকা করার কথা বলেছেন।
কেন হচ্ছে এরকম? মেট্রোরেলের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার মেট্রোকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ আলোচনায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ইতিমধ্যেই কেএমআরসিএল জানিয়েছেন বউবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে তাঁরা ৫ লক্ষ টাকা দেবেন। শুধু তাই নয়, নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও আচমকা বিপদে পড়া ওই পরিবারগুলিকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।
বউবাজারের ঘটনা প্রসঙ্গে পুরসভার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুরসভা এখনই বাড়ি ভাঙার কাজে হাত দেবে না। আগে মাটি বসা বন্ধ হোক। তার সার্টিফিকেট দেবে কেএমআরসিএল। এ জন্য ওঁরা বিশেষজ্ঞদের আনছেন। তার আগে কলকাতা পুরসভার কর্মীরা ভাঙতে গেলে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।’
সূত্রের খবর, ২০২২-এর মাঝামাঝি সময়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পর তা কবে শেষ করা যাবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে মেট্রো আধিকারিকদের মধ্যে।
এই ঘটনার জেরে তৃণমূল সুপ্রিমো বউবাজারে মেট্রো প্রকল্পের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির পরিস্থিতি বিশেষভাবে খতিয়ে দেখছেন৷ বউবাজারে পৌঁছান মমতা৷ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির অধিকার তাদের সাথে কথাও বলেন তিনি৷ সদ্য ক্ষতি হওয়া পরিবারগুলির সমস্ত অভাব অভিযোগ শুনে শীঘ্রই এ সমস্যার সুরাহা করার কথা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মমতা বলেন, ‘সঠিক সময়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়৷ দ্রুত উদ্ধারকাজ না-হলে আরও ক্ষতি হত৷ কাল মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে পুনর্বাসন নিয়ে কথা হবে৷ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷ এই নিয়ে কোনও রাজনীতি নয়৷’