বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বর্ণ ভাণ্ডারের মামলায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় নাম উঠলো ভারতের। ভারত সোনার ভাণ্ডারের মামলায় নেদারল্যান্ডকে পিছনে ফেলে দশম স্থান দখল করে নিলো। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের স্বর্ণ ভাণ্ডার ৬১৮.২ টন পর্যন্ত পৌঁছেছে। নেদারল্যান্ডের ৬১২.৫ টন সোনার ভাণ্ডার আছে। আরেকদিকে আর্থিক দিক থেকে রোজই পিছিয়ে পড়া পাকিস্তান এই তালিকায় বিগত কয়েক বছর ধরে ৪৫ নম্বর স্থানে আছে। পাকিস্তানের মোট স্বর্ণ ভাণ্ডার মাত্র ৬৪.৫ টনের।
যদিও দেশ হিসেবে দেখলে, ভারত স্বর্ণ ভাণ্ডারে নবম স্থানে আছে। এই তালিকায় আমেরিকা প্রথম আর জার্মানি দ্বিতীয় স্থানে আছে। আর এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে কোন দেশ নেই। কোন দেশের যায়গায় এই তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF)। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। আর তাঁদের কাছে ভারতের থেকে ১৩ গুন বেশি সোনার ভাণ্ডার আছে। আমেরিকার কাছে মোট ৮,১৩৩.৫ টনের সোনা আছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জার্মানির কাছে ৩,৩৬৬.৮ টনের সোনা আছে।
দ্যা হিন্দুর রিপোর্ট অনুযায়ী, আইএমএফ এর কাছে ২,৪৫১.৮ টনের সোনা আছে। এরপর এই তালিকায় ইতালির নাম আছে। ইতালির কাছে ২,৪৫১.৮ টনের সোনা আছে। ফ্রান্সের কাছে ২,৪৩৬.১ টনের স্বর্ণ ভাণ্ডার আছে। রাশিয়ার কাছে ২,২১৯.২ টনের স্বর্ণ ভাণ্ডার আছে। চীনের কাছে ১,৯৩৬.৫ টনের স্বর্ণ ভাণ্ডার আছে। সুইজারল্যান্ডের কাছে ১,০৪০ টনের স্বর্ণ ভাণ্ডার আছে। জাপানের কাছে ৭৬৫.২ টনের সোনার ভাণ্ডার আছে।
ভারত আগস্ট মাসে সোনা কেনার দিক থেকে বিগত তিন বছরের সর্বনিম্ন স্থানে আছে। আর তারপরেও ভারত প্রথম দশের তালিকায় নাম ওঠাতে সক্ষম হয়েছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল এর অনুসারে, ‘জুলাই মাসে শুদ্ধ সোনা মাত্র ১৩.১ টনের কেনা হয়েছিল, যেটা জুন মাসের তুলনায় ৯০ শতাংশ কম। আর এটা ২০১৭ এর আগস্ট মাসের পর সবথেকে কম। যদিও বেশিরভাগ দেশেই জুলাই মাসে সোনা কম কেনা হয়েছে। বিগত দুই দশকে ভারতের স্বর্ণ ভাণ্ডার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০০ এর প্রথম তিন মাসে ভারতের সোনার ভাণ্ডার ৩৫৭.৮ টন ছিল।