বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কেবিন ক্রুর শরীর থেকে ১০ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। এপিবিএন পুলিশ এই ঘটনায় ওই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কেবিন ক্রু রকেয়া শেখ মৌসুমী সহ আরও তিনজনের নামে বিমানবন্দরে সোনা পাচারকারী আইনে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ যে পরিমাণ সোনা উদ্ধার করেছে এ মুহূর্তে তার বাজার দর প্রায় ৫ কোটি টাকা।
জানা গেছে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেসরকারি ফ্লাইটটি অবতরণ করে। ইমিগ্রেশন অনুষ্ঠান শেষ করে মৌসুমী পুলিশদের চোখে ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল দিয়ে বের হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ মৌসুমিকে কাস্টমস অফিসে নিয়ে গিয়ে গোয়েন্দা কর্তাদের উপস্থিতিতে নারী কাস্টমস অফিসার দিয়ে মৌসুমির দেহে তল্লাশি করানো হয়। মৌসুমির শরীর থেকে ৮২ টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানায়, মৌসুমী শরীর থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার ওজন ৯ কেজি ৫১২ গ্রাম। ওই পরিমাণ সোনার বর্তমান বাজার মূল্য ৫ কোটি টাকা। মৌসুমী পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান এর আগেও এভাবেই তিনি সোনা পাচার করেছেন।
পুলিশ জানায় এ ঘটনার সাথে জড়িত আরও দুজন পলাতক রয়েছে। এই দুজন হলেন স্বর্ণ মালিক লাকি আক্তার ও যাত্রী সুমন। বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশি করেন। এছাড়াও ওই এয়ারলাইন্সের স্টাফ কেবিন ক্রুদের লাগেজ তল্লাশি করা হয়।