বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরতের তরফ থেকে গঠন করা হল ১২ সদস্যের বিশেষ বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই কমিটি জনসাধারণকে করোনা বিষয়ে কী কী করা উচিত নয়, পরিকাঠামো ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা সবকিছু নিয়েই সরকারকে পরামর্শ দেবে। এই কমিটির হাতে এক বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ২ স্বাস্থ্যকর্তা, ৫ জন সরকারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ৫ জন বেসরকারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে গঠিত হয়েছে এই কমিটি।
রাজ্যে (West bengal) এখনও অবধি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১ জন। নোভেল করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ২৫ হাজার ৯৬ জনকে গৃহ-পর্যবেক্ষণে অর্থাৎ হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এবং গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে মাত্র ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলা হয়েছে। লকডাউনের এই পরিস্থিতিতেও নতুন করে একজনের শরীরে মিলেছে এই মারণরোগের জীবাণু।
এখনও পর্যন্ত রাজ্য থেকে মোট আশঙ্কাজনক ২৬৯ জনের দেহ থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৩ জনের। যার মধ্যে এখনও অবধি ২৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। এই ২৭ জনের মধ্যে ২৬ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এবং একমাত্র নয়াবাদের বাসিন্দা ৬৬ বছরের প্রৌঢ়ের শরীরেই এই ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। আবার ৭৩ জন মানুষকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
লকডাউনের অবস্থা জারী থাকলেও, মানুষ কিন্তু রাস্তায় বেরচ্ছে তাঁদের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের প্রয়োজনে। আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে অনেক কমে গেলেও নাগরিকদের গৃহবন্দি করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারী পক্ষ থেকে। বাইরে বেড়লেও, খুব দ্রুতই আবার ফিরে আসার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই প্রাণঘাতী রোগ দ্বিতীয় পর্যায় থেকে তৃতীয় পর্যায়ে যাতে বিস্তার লাভ না করতে পারে, সেই জন্য ভারত সরকার আরও ২১ দিনের লকডাউন পরিষেবা বাড়িয়ে দেন। আসন্ন এই দিনগুলোতে নাগরিকদের আরও সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন দেশের এবং রাজ্যের প্রধানরা।