বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এলাকার সমস্ত গ্রামবাসী করোনা টিকা (corona vaccine) প্রত্যাখ্যান করলেও, অবশেষে সাহস করে এগিয়ে গেলেন ১২০ বছর বয়সের ঢোলি দেবী (Dholi Devi)। নিজে টিকা নিয়ে, আর পাঁচজন গ্রামবাসীকেও উৎসাহিত করলেন টিকা নেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে তাঁর দেখাদেখী পিছিয়ে যাওয়া মানুষেরাও মুক্ত মনে এগিয়ে এলেন, গ্রহণ করলেন করোনা টিকা।
ঘটনাটি জম্মু কাশ্মীরের উধমপুর দোদার এলাকায়। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামবাসীদের ভ্যাকসিনেশনের জন্য মোবাইল ক্যাম্প করে টিকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছে কাশ্মীরের স্বাস্থ্য দফতর। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার দরুন, সেখানকার বাসিন্দারা কো-উইন পোর্টাল অথবা অ্যাপ ব্যবহার করতে অপারক। তাই স্বাস্থ্য দফতর থেকেই ক্যাম্প করে তাঁদের টিকারণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেশে যেখানে টিকার আকাল পড়েছে, সেখানে জম্মু কাশ্মীরের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামবাসীদের ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করা হলেও, তাঁরা কিছুতেই ভ্যাকসিন নিয়ে রাজী হচ্ছিলেন না। এই এলাকার মানুষ টিকাকরণের ঘোর বিরোধী ছিলেন। কোনকিছুর বিনিময়েই তাঁদের টিকা নেওয়ার উপকারিতার কথা বোঝানো অসম্ভব হয়ে পড়ে।
অবশেষে তাঁরা টার্গেট করলেন এলাকার বর্ষীয়সী মহিলা ঢোলি দেবীকে, যার বয়স প্রায় ১২০ বছর। আগে থাকতেই ওই এলাকায় মুক্ত সংস্কারহীন মনোভাব ও সাহসের জন্য তিনি প্রশংসিত ছিলেন। অনেক কষ্টে তাঁকে টিকার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে সক্ষম হলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শেষে সবার প্রথম এগিয়ে এলেন জম্মু কাশ্মীরের উধমপুর জেলার বসন্তগড় ব্লকের এই প্রত্যন্ত গ্রামের প্রবীণ মহিলা। ইনিই সম্ভবত বিশ্বের প্রবীণতম মহিলা, যিনি এই বয়সে ভ্যাকসিন নিলেন।
ঢোলি দেবীকে ভ্যাকসিন নিতে দেখে, বাকি এলাকাবাসীরাও এক একে এগিয়ে এলেন টিকা নিতে। যার পরবর্তীতে ব্লক মেডিক্যাল অফিসার ড. বশির শেখের টিম এক বৃহৎ কর্মকান্ডের অংশ হল।