বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিশুর জন্মগ্রহণের পর, বাড়িতে তাঁদের শুভকামনা জানাতে বৃহন্নলাদের আসার রেওয়াজ রয়েছে। আর সন্তানকে আশীর্বাদ করে, তাঁর সুস্বাস্থ্য় দীর্ঘায়ু কামনা করে কিছু দাবিও করে বৃহন্নলারা। সেই মত শিশুর পরিবার থেকে কিছু অর্থও তুলে দেওয়া হয় বৃহন্নলাদের হাতে। কিন্তু এবার এক বৃহন্নলার দাবি না মেটায়, জুলুমবাজিতে প্রাণ হারাল ২০ দিনের সদ্যজাত।
এমনি একটি নক্কারজনক ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদহের (malda) মানিকচকের বাঙাল গ্রামের বাসিন্দারা। অভিযোগ উঠেছে, বৃহন্নলার দাবি না মেটায়, জোর করে মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় সদ্যজাতকে। আর তারপর জোরে জোরে বাজাতে থাকে ঢাক ঢোল। যার ফলে খিদের জ্বালায় অকালেই মারা যায় ২০ দিনের শিশুটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ শে অক্টোবর মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তিন যমজ সন্তানের জন্ম দেন মানিকচকের বাঙাল গ্রামের বাসিন্দা মাম্পি মাঝি। ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তানের জন্ম দেওয়ায় পরিবারে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে। এরপর শিশুদের সুস্বাস্থ্য় ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বুধবার সকালে তাঁদের বাড়িতে হাজির হয় আওলাদ নামের একজন বৃহন্নলা। যেখান থেকেই শুরু হয় বিপত্তি।
সন্তানদের মঙ্গল কামনা করে মাম্পি ও তাঁর স্বামী অসিতের কাছে ১২০০ টাকা দাবি করে বৃহন্নলা। কিন্তু পেশায় দিনমজুর হওয়ায় তাঁরা ৩০০ টাকার বেশি দিতে পারবে না বলে জানায়। সে কথায় কর্ণপাত না করে, মায়ের কোল থেকে শিশুকে ছিনিয়ে নিয়ে জোরে জোরে ঢাক ঢোল বাজাতে শুরু করে আওলাদ।
প্রায় ঘন্টা তিনেক এভাবে করতে থাকেন ওই বৃহন্নলা। শিশুটির মা চাইলেও, তাঁকে দিতে চায় না। শিশুটির পরিবার না পেরে এক আশাকর্মীর দারস্থ হলে, তাকেও ফোনে হুমকি দেয় আওলাদ। এরপর এভাবে ধীরে ধীরে খিদের জ্বালায় নেতিয়ে পড়ে শিশুটি এবং মারা যায়।
ঘটনায় ক্ষেপে ওঠে এলাকাবাসী। খবর দেওয়া হয় মানিকচক থানায়। পরিবারের অভিযোগ শুনে ঘটনাস্থলে থেকে ওই বৃহন্নলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে।