বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রেম (Love) মানে না কোনো বাধা। পাশাপাশি, তা ছিন্ন করে দিতে পারে বয়সের বেড়াজালও। আর সেই কারণেই প্রেমকে বলা হয় “অন্ধ”। যেখানে দু’টি মনের মিলনই সবথেকে বেশি প্রাধান্য পায়। তবে, প্রেমের টানে “পাগল” হয়ে কেউ কেউ আবার এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন যা সবাইকে করে দেয় অবাক। ঠিক সেইরকমই এক বিষয় এবার সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, এবার পড়শি দেশ পাকিস্তানের (Pakistan) ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ৭০ বছরের একজন বৃদ্ধাকে বিয়ে করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানের ৩৫ বছর বয়সী নাঈম কানাডায় বসবাসকারী ৭০ বছরের এক বৃদ্ধার প্রেমে পড়ে যান। এদিকে, প্রেমের সম্পর্ক কয়েকদিন ধরে চলতে থাকার পরই তাঁরা একইসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সবথেকে অবাক করার মতো বিষয় হল, এই প্রেমের প্রসঙ্গে নাঈম বলেন, যখন তিনি ওই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তখন তাঁর মনে হয়েছিল এর থেকে ভালো সম্পর্ক আর কিছুই হতে পারে না।
নাঈম বলেন, বয়সের এই পার্থক্যের কারণে সবাই তাঁর উদ্দেশ্যে ঠাট্টা করেন। কিন্তু তিনি তা পাত্তা দেননা। এমনকি, অনেকে আবার তাঁকে “গোল্ড ডিগার” বলেও অভিহিত করছেন। এই সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে জানিয়েছেন, ৭০ বছরের বৃদ্ধাকে বিয়ে করার কারণ হিসেবে প্রেম বা ভালোবাসা নেই, বরং রয়েছে সম্পত্তির টান। আর এভাবেই নাঈমের সমালোচনা করেন অধিকাংশজন। যদিও, নাঈম সেগুলির দিকে কান দেন না।
আরও পড়ুন: হতে চেয়েছিলেন অফিসার! ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্লেসমেন্ট ছেড়ে UPSC পরীক্ষায় পাশ করে স্বপ্নপূরণ আরুষির
ফেসবুকে হয় বন্ধুত্ব: নাঈম জানিয়েছেন, প্রায় এক দশক আগে ফেসবুকে ওই বৃদ্ধার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। কথোপকথন এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে দু’জনেই অনুভব করতে শুরু করেন যে তাঁরা একে অপরের আরও ভালো পার্টনার হতে পারেন। এমতাবস্থায়, তাঁরা ২০১৭ সালে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। যদিও, কিছু কারণবশত তা সম্ভব হয়নি। তবে, এখন তাঁরা বিবাহিত।
আরও পড়ুন: পাঁচ বছর ধরে ছিল বন্ধ! ফের শুরু হতে চলছে রাজ্য সরকারের এই জনপ্রিয় প্রকল্প, প্রতিমাসে মিলবে মোটা টাকা
ডেইলি পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাঈম জানিয়েছেন, আগে তাঁদের মধ্যে একটি স্বাভাবিক বন্ধুত্ব ছিল। বন্ধুত্ব কবে প্রেমে পরিণত হল তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। নাঈমের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, বয়সের পার্থক্যের কারণে দীর্ঘদিন এই বিয়ে টিকিয়ে রাখা কঠিন। যদিও তাঁর মনে হয়েছে ওই বৃদ্ধার চেয়ে ভালো সঙ্গী তাঁর আর কেউ হতে পারে না।
কানাডায় থাকেন ওই বৃদ্ধা: আরও জানা গিয়েছে যে, ওই বৃদ্ধা নিজেই বিয়ে করতে কানাডা থেকে পাকিস্তানে এসেছিলেন। নাঈমের মতে, লোকেরা তাকে “গোল্ড ডিগার” বলে ডাকলেও তিনি স্পষ্ট করতে চান যে, তাঁর স্ত্রী কোনো ধনী পরিবার থেকে আসেননি। বরং, তিনি পেনশন পান এবং এটিই তাঁর অর্থপ্রাপ্তির একমাত্র উপায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পাকিস্তানে বয়সের তুলনায় বড় বিদেশি মহিলাদের বিয়ে করার বিষয়টি একটি সাধারণ ঘটনা। প্রায়শই পাকিস্তানি নাগরিকরা বিদেশি নাগরিকত্ব অর্জনের জন্য এই ধরণের বিয়ে করে থাকেন।