বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার বাংলায় বার্থ ফ্লুর (Bird Flue) থাবা। এবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) এক চার বছরের শিশু। বিগত পাঁচ বছরে ভারতে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মানবদেহে এইচ৯এন২ (H9N2) প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেল। জানা যাচ্ছে বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত মাত্র চার বছরের ওই শিশুটি আদতে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ধুম জ্বরের সাথে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট আর পেটব্যথার লক্ষণ নিয়ে ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে প্রায় ৩ মাস ধরে চিকিৎসা চলেছিল তার। তবে এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছে শিশুটি। তবে কীভাবে তার শরীরে ভাইরাস এল তা জানা যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে তাঁরা জানিয়েছেন শিশুটির বাড়িতে হাঁস ও মুরগির খামার ছিল। মনে করা হচ্ছে সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে শিশুটির দেহে।
তবে ওই শিশুটির পরিবারের আর কারও শরীরেই ওই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, বার্ড ফ্লু সংক্রমণের পরে শিশুটির ফুসফুসজনিত কিছু সমস্যা দেখা গিয়েছিল। তবে শিশুটি এখন সুস্থ আছে। শিশুটি উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা। তার পরিবারের কেউ বা তার বাড়ির আশপাশের কারও মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
শিশুটির নাক ও গলা থেকে নেওয়া নমুনা কলকাতার একটি ভাইরাস রিসার্চ সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানেই ধরা পড়েছে শিশুটির শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের এইচ৯এন২ প্রজাতির সংক্রমণ হয়েছে। উললোখ্যে এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার এক জনের শরীরে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: আসছে কেন্দ্রের অষ্টম বেতন কমিশন! কবে থেকে কত বাড়বে DA? রইল বড় আপডেট
তবে একটা সময় ছিল যখ মনে করা হত, বার্ড ফ্লু ভাইরাস মানবদেহে ছড়াতে পারে না। কিন্তু ১৯৯৭ সালে হু প্রথম মানবদেহে এই ভাইরাল স্ট্রেন চিহ্নিত করেছিল। মৃত পাখির দেহাবশেষের সংস্পর্শে এসেই মানুষের শরীরে সেই ভাইরাল স্ট্রেন ছড়িয়েছিল বলেই মনে করা হয়।
#NewsAlert | The World Health Organization on Tuesday said a case of human infection with #BirdFlu caused by the H9N2 virus was detected in a four-year-old child in the eastern Indian state of West Bengal.
(Reported by news agency Reuters)
— NDTV (@ndtv) June 12, 2024
প্রসঙ্গত বার্ড ফ্লু ভাইরাস হল বিশেষ ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা নামেও পরিচিত। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই বিরাজ মানবদেহে প্রবেশ করার পর তা করোনা ভাইরাসের মতোই দ্রুত বিভাজিত হতে পারে। এর উপসর্গও নাকি করোনা সংক্রমণের মতোই জ্বর, শ্বাসকষ্ট, পেটব্যথা ইত্যাদি। তবে চোখের সংক্রমণও হতে পারে। করণের মতোই এই ভাইরাস মানুষের শ্বাসযন্ত্রে সবার আগে আঘাত হানে। চিকিৎসকদের মতে , আক্রান্তের থুতু বা লালার মাধ্যমেও এই ভাইরাস সুস্থ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে।