বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (corona virus) নিয়ে উত্তাল বিশ্বে মানুষ নাজেহাল হয়ে পড়েছে। দিনে দিনে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। এবার দিল্লি সরকারের (Delhi goverment) জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে কর্মরত এক ৪২ বছর বয়সী চিকিৎসক মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মৃতের নাম ডাঃ জাভেদ আলী (Dr Javed Ali)।
জানা গিয়েছে, মার্চ মাস থেকে অত্যন্ত সংক্রামক অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রন্টলাইনে ছিলেন জাফেদ আলী। ২৪ শে জুন করোনার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিল। তার পর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
গত ১০ দিন ধরে তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। গতকাল সকালে এইমস ট্রমা সেন্টারে ডাঃ আলী মারা যান। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। একটি ৬ বছরের ছেলে এবং একটি ১২ বছর বয়সী কন্যা সন্তান আছে তার।
পরিবার ক্ষতিপূরণ দাবি করে বলেছে যে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিকরা দিনরাত কাজ করেও কোনওরকম সহায়তা দেওয়া হয় না তাদের। চিকিৎসক আলী ছিলেন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক।
মৃত চিকিৎসকের স্ত্রী বলেন, “আমি আমার স্বামীর জন্য গর্বিত। তিনি শেষ অবধি কাজ করে গেছেন। মার্চের পর থেকে তিনি একদিনও ছুটি নেননি। তিনি ঈদেও কাজ করেছিলেন।
তিনি স্ত্রী আরও বলেন, আমার স্বামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাকে কোনও সাহায্য করা হয়নি। হাসপাতালে আমাদের ১.২৩ লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে। আমি কিভাবে সংসার চালাব?এনএইচএম ডাক্তার কল্যাণ সমিতিও এ বিষয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে চিঠি দিয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, কোণও স্বাস্থ্য কর্মী করোনায় মারা যান তাহলে তাদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।