বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে নদীয়ার এক পরিযায়ী শ্রমিকের আলাপ হয় বাংলাদেশের (Bangladesh) এক যুবকের সাথে। এরপর সেই পরিযায়ী শ্রমিক ওই যুবককে আশ্রয় দেন নদিয়ায় নিজের বাড়িতে। তৈরি করে দেন আধার কার্ড। কিন্তু ওই বন্ধুর স্ত্রীর সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ফলে আশ্রয়দাতা বন্ধুকেই খুন করার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশী যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার কৃষ্ণপুরে।
মৃত যুবকের নাম সাহাবুল শেখ। তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বাড়ির পাশের জঙ্গল থেকে। মৃত যুবকের পরিবার দাবি করেছে, অভিযুক্ত ইন্নাল হালসনা ওই বাড়িতে থাকার সময় অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বন্ধুর স্ত্রীর সাথে। এরপর সাহাবুল তা জানতে পেরে বাড়ি থেকে বার করে দেন তাকে। সেই অপমানের বদলা নিতে ইন্নাল খুন করেছেন সাহাবুলকে। এরপর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার।
এরপর কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) আদালতে তাকে হাজির করানো হয় বুধবার। আদালত তাকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সাহাবুলের পরিবারের বক্তব্য, ইন্নাল সোমবার রাতে সাহাবুলকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি সাহাবুল। পরের দিন বাড়ি থেকে দের কিলোমিটার দূরে একটি জঙ্গল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছে সাহাবুলের মোবাইল।
মোবাইল পরীক্ষা করে দেখা গেছে সাহাবুলের কাছে শেষ ফোন এসেছিল রাত আটটায়। সেই ফোনটি করেছিল ইন্নাল। পরিবারের দাবি গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঠান্ডা মাথায় সাহাবুলকে খুন করেছে ইন্নাল। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পেরেছে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার কুটি-দুর্গাপুরের উত্তর ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা ইন্নাল। কাজের খোঁজে সীমান্ত পেরিয়ে সে এদেশে আসে ২০১৫ সালে। কাজ পায় ব্যাঙ্গালোরে। সেখানেই তার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সাহাবুলের।