বাংলা হান্ট ডেস্ক: দারিদ্রতা কখনো সাফল্যের পথে বাধা হতে পারে না। এ কথাই যেন আরো একবার প্রমাণ করলেন স্নহোলার বাসিন্দা যুবক প্রবীণ শর্মা। আজ তাঁর লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা (Business) হলেও শুরুর দিকে জীবনটা এতটাও মসৃণ ছিল না। খুবই অভাব-অনটনের সংসার থেকে উঠে আসা এই যুবক যখন মাত্র দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তখন থেকেই প্রচণ্ড অর্থ কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হত তাঁকে।
অভাবের সংসারে এক অনিশ্চিত জীবনের মধ্যে বিরাট প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হন তিনি। একসময় দুবেলা দুমুঠো পেটের ভাত জোগাড় করতে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে প্রথম জীবনে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন শ্রমিক হিসাবে। সেই কাজ করে যে টাকা তিনি পেতেন সেই টাকা দিয়েই ব্যবসা (Business) শুরু করে আজ লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন প্রবীণ।
এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে প্রবীণ জানিয়েছেন তিনি অর্থের অভাবে মাত্র দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তারপর পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সংসার টানতে শুরু করেন নিজের ব্যবসা (Business) । প্রথমে তিনি বাড়ির কাছে ১০টি চপ্পল নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমবার ১০ টি চপ্পল বিক্রি হয়ে যাওয়ার আনন্দে আরও কিছু জুতো কেনেন তিনি। এরপর ধীরে নিজের ব্যবসা বাড়াতে শুরু করেন প্রবীণ।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনে মনের আনন্দে চালিয়ে রাখছেন AC? হয়ে যান সতর্ক, নাহলেই পড়বেন চরম দুর্ভোগে
পরবর্তীকালে ব্যবসার জন্য সরকারি প্রকল্পে ঋণ নিয়ে প্রবীণ শুরু করেন নিজস্ব স্টার্টআপ। ২০২১ সাল থেকেই এই ব্যবসা শুরু করেন প্রবীণ। তিনি জানিয়েছেন ব্যবসার শুরুর দিকে বিক্রি নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু উৎপাদন শুরু হলে প্রথমেই তিনি বাজার খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন। তারপরেই সমস্ত জিনিসপত্র কিনে এনে এনে কাজ শুরু করেন। তারপর লোকজন তার প্রোডাক্ট দেখে দারুন প্রশংসা করতে শুরু করেন।
আগামীদিনে বিহারের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড থেকেও নিজের প্রোডাকশন বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবীণ। বর্তমানে এই ব্যবসা থেকেই প্রতি বছর প্রায় ৬০ লাখ টাকা আয় হয় প্রবীণের। বর্তমানে এটি বুরারিতে অবস্থিত বিয়াডায় এই জুতো তৈরি করা হচ্ছে। এখন থেকেই অর্ডারে লোকেদের কাছে পণ্য পাঠানো হয়। এখানে মোট ৬০-টিরও বেশি ভ্যারাইটির জুতো তৈরী হয়। খুব তাড়াতাড়ি এই জুতো দক্ষিণ ভারতেও সাপ্লাই করা হবে।