করোনা ভাইরাস ক্রমশ শক্তিশালি হচ্ছে, এর মধ্যে দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রায় সবার মানুষ এখন ঘরবন্দী। আর এরকম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ মারমুখি হয়েছে বহু বাড়িতে। এরকম মধ্যে একটা অন্যরকম ঘটনা সামনে এসেছে। একটি দরিদ্র ছেলে তার মায়ের জন্য খাবার এবং ওষুধ আনতে বাইরে বের হয় । বলতে গেলে সে খানিকটা বাধ্য হয়েই চুরি করে। এমনকি এই চুরি বাধ্য হয়েই সে করেছে, কিন্তু এরপরে তার জন্য তাকে যে জেল যেতে হবে সেটা বোঝেনি। ছেলেটিকে আদালত নিয়ে যাওয়া হয় তারপর সে জানায়।
নাবালকের নাম নরেন্দ্র রাও, বিহারের নালন্দার বাসিন্দা। পুলিশ গ্রেফতার করার পর, তাকে আদালতে পেশ করা হয় । তাকে আদালতে হাজির করার পর সেখানে সে স্বীকার করেছে যে সে বড় অপরাধ করেছে। রবিবার স্থানীয় একটি আদালত তাকে রেশন, কাপড় এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করেছিল। এরপর ঐ নাবালক আদালতের কাছে সত্যিটা জানায়।
“আমি যখন চুরির পরে অপরাধের জায়গা থেকে ছুটে যাচ্ছিলাম তখন স্থানীয়রা আমাকে মারধর করার জন্য এলাকায় জড়ো হয়েছিল। আমি তাদের সাথে মারপিট করি এবং তখন পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে এবং আমাকে থানায় নিয়ে যায়। বিচারক যে আমার অবস্থা বুঝতে পেরেছেন এবং বুঝতে পেরে আমাকে ভুল শুধরানোর সুযোগ দিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ।
তবে এই ঘটনায় ঐ নাবালকের পাশে থাকা স্থানীয়রা অনেকে বলেছে তাদের একটি রেশন কার্ড রয়েছে এবং তারা সরকারি প্রকল্পের আওতায় পেনশন পাচ্ছে। তাও কেন চুরি করলো জানা নেই কারো।