বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইতালি, ফ্রান্স, স্পেনের পর মারণ রোগ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) প্রভাবে আমেরিকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রমাগত মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আমেরিকায়। এখনও অবধি মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার। সেই কারণে UNSC -তে বৈঠক ডাকা হয়। UNSC তে বৈঠক ডাকতেই চীন এবং আমেরিকা আবার সামানা সামনি হয়ে যায়। আমেরিকা এখনও অবধি সযুক্ত রাষ্ট্র এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) -এর ভূমিকা নিয়ে নানারকম প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু উল্টো দিকে চীন এই দুই সংস্থারই গুণগান করে চলেছে।
করোনা ভাইরাসের বিষয়কে কেন্দ্র করে UNSC -তে ভার্চুয়াল মহা বৈঠকের আয়জোন করা হয়েছিল। বৈঠকে চীন বলে করোনা ভাইরাস একটি বৈশিক মহামারি, যা UN এবং WHO-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে। সেই কারণে চীন তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছে। এই ভাইরাস সবার জন্যই ভয়ঙ্কর। তাই সকল দেশকে একসঙ্গে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
UN-এর পক্ষ থেকে সব দেশকে ডেকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছিল, চীন আবার এই বিষয়টিকে সমর্থন করছে। চীনের বক্তব্য হচ্ছে, যখন তাঁদের দেশ সংকটের মধ্যে ছিল, তখন অন্যান্য অনেক বেশ তাঁদেরকে সাহায্য করেছিল। তাই এখন চীন ১০০ -এরও বেশি দেশকে সাহায্য করছে।
কিন্তু এই বৈঠকে আমেরিকা চীনকে অনেক দোষারোপ করেছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবের কারণে আমেরিকা যে চীনের উপর ক্ষিপ্ত, তা এই বৈঠকে আবারও প্রমাণ হয়ে গেল। আমেরিকার দাবী, সংকটের এই সময়ে পারদর্শিতা রাখার প্রয়োজন। যাতে করে সকলে সত্য জানতে পারে। আমেরিকা বর্তমানে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে একত্রিত হয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। এর আগেও তারা করোনা ভাইরাসের সত্যতা গোপনের জন্য চীন এবং WHO কে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল। এই বৈঠকে আমেরিকা আবারও সেই প্রসঙ্গ তুলে, সব দেশকে সত্যের পথে চলার কথা জানান।
চীন এখনও করোনা ভাইরাসের বিষয়কে অস্বীকার করে বলছে, তাঁর কোন কিছু গোপন করেনি। এবং এইভাবে চীন WHO -এর প্রধানকে বাঁচিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি WHO-এর প্রধানকে করোনা ভাইরাসের কারণে দোষারোপ করে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করারও কথা বলেছেন।