বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূলের (Trinamool Congress) ফান্ডে গিয়েছে সিইএসসির ১৮.৫ কোটি টাকা! এর নেপথ্যে রয়েছেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে এমনটাই দাবি করলেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার একজন কর্মী। সিইএসসি-র (CESC) অধীন থাকা সমবায় ব্যাঙ্কে ভোটাভুটির আগে এই বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে।
তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ছাড়া কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেনি বলে অভিযোগ (Calcutta High Court)!
২০১১ সালের পর থেকে উক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট বন্ধ। সেই কারণে ২০১৩ সালে রাজ্যের তরফ থেকে পুরনো বোর্ড ভেঙে নমিনেশনের মাধ্যমে ডিরেক্টর নির্বাচন করা হয়। এখনও ওই বোর্ড চলছে। আগামী ১৭ এপ্রিল সমবায় ভোট রয়েছে। এবার তার আগেই স্বচ্ছভাবে ভোট পরিচালনার দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সিইএসসির একজন কর্মী।
মামলাকারীর দাবি, ভোট এসে গেলেও কোনও ড্রাফট ভোটার লিস্ট বানানো হয়নি। ফলে কারা ভোটার সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। এমনকি একাধিকবার দাবি করার পরেও ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়! তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ ছাড়া কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলেও আদালতে (Calcutta High Court) অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘গুজবে কান দেবেন না’! পার্ক সার্কাসে হিন্দুদের ওপর ‘হামলা’র অভিযোগে বড় দাবি কলকাতা পুলিশের
সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীর দাবি, ’২১ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ অবধি মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল। তবে ওই সময়কালে তৃণমূল কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ ছাড়া কেউ মনোনয়নই জমা করতে পারেনি… হাতেগোনা কিছুজন মনোনয়ন জমা করলেও তাঁদের পরে রীতিমতো মারধর করা হয়’।
মামলাকারী আরও অভিযোগ করেন, ‘২০২১ সালে সমবায়ের উন্নতির জন্য সিইএসসির তরফ থেকে ১৮.৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই বিপুল পরিমাণ টাকা তৃণমূলের ফান্ডে চলে যায়। যার মূল কাণ্ডারি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়’।
রাজ্যের মন্ত্রী অবশ্য বলেন, ‘এগুলো সব মিথ্যে কথা। যে ইউনিয়ন একক শক্তিতে ৯৮% ভোট পায়, তাদের মারপিটের দরকার পড়ে না’।
উল্লেখ্য, চাকরি বাতিল সহ একাধিক ইস্যুতে বর্তমানে বেশ চাপে রয়েছে রাজ্যের শাসকদল। তার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দাবি করা হল, বছর চারেক আগে সমবায়ের উন্নতির জন্য সিইএসসির তরফ থেকে দেওয়া ১৮.৫ কোটি টাকা তৃণমূলের ফান্ডে গিয়েছে। অভিযোগের তীর মূলত রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দিকে। যদিও ‘এগুলো সব মিথ্যে কথা’ বলে দাবি করেছেন তিনি।