চিকিৎসার নাম চলত দেদার ধর্ষণ! মোট ৮৭ মহিলাকে.., মারাত্মক অভিযোগ এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কে বুঝবে এমন সাদাসিধে সুদর্শন,সহজ-সরল মুখের পেছনে রয়েছে এই নর-পিশাচ! তাও আবার পেশায় একজন চিকিৎসক। ভগবানের পরেই যার স্থান বলে মনে করেন সবাই। এবার সবার সামনে খসে পড়ল সেই বর্বররূপী চিকিৎসকের আসল চেহারা। কে ভেবেছিল এমন নামজাদা-ভদ্র-মার্জিত চিকিৎসকের মুখের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে এমন মানুষ!

চিকিৎসার নাম করে ৮৭ মহিলাকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ

প্রায় দু দশক অর্থাৎ কুড়ি বছর ধরে চিকিৎসা করার নামে একের পর এক নারকীয় কান্ড (Rape) ঘটিয়ে গিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এমনই এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে নরওয়ের একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। নরওয়ের বাসিন্দা বছর ৫৫-র সুদর্শন ওই চিকিসকের বিরুদ্ধে উঠেছে ৮৭ জন নারীকে ধর্ষণের (Rape) গুরুতর অভিযোগ।

শুধু তাই নয় আরো সব ভয়ংকর অভিযোগ জমা পড়েছে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। যা প্রকাশ্যে আসতেই হকচকিয়ে গিয়েছে নরওয়ে প্রশাসন। জানা যাচ্ছে নরওয়ের ফ্রোস্টা গ্রামের বাসিন্দা এই স্ত্রীরোগ চিকিৎসক নিজের গ্রামে বসেই একের পর এক এই কুকীর্তি ঘটিয়ে গিয়েছেন। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নাবালিকা ধর্ষণের (Rape) মামলা সহ আরও গুরুতর মামলা দায়ের হয়েছে।

এই ঘটনাটিকে নরওয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। আর্নের বিরুদ্ধে মোট ৯৪ জন নারীকে যৌন নিগ্রহ ও ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৭ জন তার বিরুদ্ধে সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। টানা দু’দশকের বেশি সময় ধরে তিনি এই কুকীর্তি চালিয়ে যান বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বড় খবর! রাজ্যের ৮ মেডিক্যাল কলেজে ED-র হানা! চলছে ম্যারাথন তল্লাশি

জানা যাচ্ছে আর্নের যৌন লালসার হাত থেকে রেহাই পায়নি এক ১৪ বছরের কিশোরীও। এমনকি আর্নের যৌনলালসের হাত থেকে রেহাই পায়নি একজন ৬৭ বছর বয়সী বৃদ্ধাও। এই বর্বর চিকিৎসকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ছয় হাজার ঘন্টার বেশি সময়ের ভিডিও ফুটেজ যার মধ্যে স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত পরীক্ষার রেকর্ডিং।

Rape

চিকিৎসার নামে রোগীদের অজান্তেই তাঁদের পরীক্ষার নানান দৃশ্য রেকর্ড হয়ে যেত ক্যামেরায়। ঐ সমস্ত রেকর্ডিং পরীক্ষা করে পুলিশ জানিয়েছে এতে এমন কিছু ভিডিও তোলা হয়েছে যা অত্যন্ত সংবেদনশীল। এছাড়া ওই চিকিৎসকের বাড়ি এবং অফিসের তল্লাশি চালিয়েও একাধিক ক্যামেরার হদিশ পেয়েছে পুলিশ।

শুধু তাই নয় জানা যাচ্ছে, এই বর্বর চিকিৎসক মহিলাদের যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করার সময় একেবারে অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বেছে নিতেন। একজন নির্যাতিতার অভিযোগ তিনি একবার আর্নের কাছে গলা ব্যাথার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি দেখেন শুধু অন্তর্বাস পরে তিনি একটি বেঞ্চের ওপর শুয়ে রয়েছেন। এইভাবেই দিনের পর দিন রোগী দেখার নাম করে নিজের চেম্বারে বসেই যৌনলালসা মেটাতেন ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর