বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডাক্তারি পেশাটির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত,তাঁরা নিঃসন্দেহে যে ভগবানের সমান তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মৃত্যুর মুখ থেকে রোগীকে ফিরিয়ে আনাই হলো ডাক্তারের কাজ। তাই হয়তো চিকিৎসকের পেশায় আসার আগে নৈতিকতার এক শপথ গ্রহণ করতে হয় চিকিৎসকদের। সেই শপথ মূলত হিপোক্রেটিক ওথ নামে পরিচিত।
নিজস্ব পেশায় নৈতিকতা বজায় রাখার পাশাপাশি এই লক্ষ্যে অবিচল থাকার জন্যই এই শপথ গ্রহণ করতে হয়। তবে বইয়ের পাতায় যা লেখা থাকে তা শুধু উচ্চারণ করলেই যে হয় না, তার প্রমাণ মিললো আবার। সাপের কামড় খেয়েছেন ডাক্তার নিজেই। তবুও হাতে সেলাইন নিয়ে একের পর এক রোগী দেখে চলেছেন এই চিকিৎসক।
আরোও পড়ুন : উত্তরবঙ্গ গিয়ে অনন্ত মহারাজের বাড়িতে মমতা! নিশীথ হারতেই পাল্টাচ্ছে সমীকরণ? তোলপাড় বাংলা!
এমনই একটা দৃষ্টান্তের সাক্ষী থাকলো ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল (Dhupguri Rural Hospital)। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। তার উপরে আবার সাপের কামড় খেয়ে স্যালাইন নিতে বাধ্য হয়েছেন চিকিৎসক সৃজিতা সাহা। ওই অবস্থাতেই রোগী দেখছেন তিনি। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধুপগুড়ি মহাকুমা হাসপাতালে এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল সম্প্রতি মহকুমা হাসপাতালের তকমা লাভ করেছে।
তবে চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়নি বলে জানাচ্ছেন রোগীরা। তাই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে রীতিমত নাজেহাল অবস্থা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কিন্তু রোগীর প্রাণ তো বাঁচাতেই হবে। তাইতো হাতে স্যালাইন নিয়েও রোগী দেখছেন ডাক্তার। স্বাস্থ্যপরিসেবা ব্যবস্থা ভগ্নপ্রায় দশা হলেও, নিজের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে চলেছেন চিকিৎসক সৃজিতা সাহা। সকলেই তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন।