বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভাগীরথীর (Bhagirathi River) জলে ভেসে যাচ্ছে একটি সুসজ্জিত ভেলা। সেই সুসজ্জিত ভেলার ভেতর হয়ত শুয়ে আছে কেউ। নদীর উপর এমন দৃশ্য আগে কেউ দেখেনি। ঘটনাটিকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্টিমার ঘাটে।
এই ভেলাটিকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েকশ মানুষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্টিমার ঘাটে স্নান করতে গিয়ে একজন লক্ষ্য করেন যে দূরে জলের উপর একটি কলার ভেলা ভেসে বেড়াচ্ছে। সেই ভেলায় টাঙানো রয়েছে মশারি। এমনকি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে এই ভেলাটিকে। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছে সেই ভেড়ার ভেতর শুয়ে রয়েছেন কেউ।
অদ্ভুত এই ভেলা আগে কখনো এই অঞ্চলে দেখা যায়নি। এই খবর ছড়িয়ে পড়তে স্টিমার ঘাটে হাজির হন বহু মানুষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশও এই জিনিসটিকে দেখে প্রথমে অবাক হয়ে যায়। স্থানীয়দের একাংশ দাবি করেছেন, বহু জায়গায় শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসে মনসা পুজো হয়।
আরোও পড়ুন : জাতীয় পুরস্কার ৫ বার! তবুও অরিজতের কারণে ঢেকে যায় তার নাম, এবার মুখ খুললেন শ্রেয়া
সেই পুজো উপলক্ষে ঝাপান গানের পর বেহুলা-লক্ষিন্দরকে ভেলায় সাজিয়ে জলে ভাসিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে। হয়ত কোনও এলাকার মানুষ সেই রীতি অনুযায়ী ভেলা ভাসিয়েছিলেন ভাগীরথীর জলে। নদীতে এই ভেলা দেখে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। দূর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল ভেলার মধ্যে হয়ত দুজন মানুষ শুয়ে রয়েছে।
আরোও পড়ুন : “আমায় ভালোবাসার জন্য সলমনকে…”, এবার ভাইজানের কেশহীন লুক নিয়ে মন্তব্য শাহরুখের
যদিও পরে দেখা যায় সেটি আসলে পুতুল। অনেকটা বেহুলা-লখিন্দর এর ভেলার মতো দেখতে এই ভেলাটি। স্থানীয় বাসিন্দা মৃণালকান্তি সরকার বলেছেন, প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম কেউ বা কারা মরা মানুষকে এভাবে ভাসিয়ে দিয়েছে। এরপর আমরা খবর দিই শান্তিপুর থানায়। পুলিশ এসে ভিডিও করে। এরপর দেখা যায় এটি আসলে ঠাকুর।
অনেক জায়গায় মনসা পুজোর পর এই ধরনের ঠাকুর ভাসিয়ে দেওয়ার রীতি রয়েছে। সেই রীতির অংশ হিসেবেই এই ধরনের ভেলা কেউ বা কারা ভাসিয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা পূর্ণিমা দেবী জানিয়েছেন, স্নান করতে গিয়ে দেখি এইরকম একটি ভেলা। প্রথমে ভেবেছিলাম এতে কোনও মৃতদেহ রয়েছে। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম দেখে।