ডিম ৪০০ টাকা ডজন, পেঁয়াজ, মাংসের দাম ছুঁয়েছে আকাশ! পাকিস্তানে চরম হাহাকার

বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভিখারির অবস্থা হল পাকিস্তানের (Pakistan) সাধারণ মানুষের। খাবার কেনার মতো সামর্থ্য নেই তাদের। সেখানে খাবারের দাম শুনে ভীমরতি খাচ্ছেন মানুষ। খালি থলি নিয়েই ফিরতে হচ্ছে বাড়ি। পাকিস্তানের খাদ্যপণ্যের দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনাদের। জানেন সেখানকার খাদ্যপণ্যের দাম কী রকম? জানতে হলে প্রতিবেদনটির উপর চোখ রাখুন।

গত বছর থেকেই আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। এই দেশ আর্থিক দিক দিয়ে দেউলিয়ায় পরিণত হয়েছে। সেখানকার সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, সেখানে এক ডজন ডিমের (Egg) দাম ৪০০ পাকিস্তানী রুপি (Pakistani Rupees)। সেখানকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া হয়েছে। পাকিস্তানের সরকার জিনিসপত্রের দাম সরকারি দামে বেঁধে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। শুধু ডিমই না সেখানে পেঁয়াজ (Onion) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ পাকিস্তানি রুপিতে। এত পরিমাণে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সেখানকার মানুষ মাংস খেতে ভুলে গিয়েছে বলতেই পারেন। প্রতি কেজি মুরগির মাংস (Chicken) ৬১৫ পাকিস্তানি রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।

কিছু মাস আগে পাকিস্তান সরকার ইকোনোমি ক-অর্ডিনেশন কমিটিকে বাজারের উপর বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দিয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম যাতে সাধারণ মানুষের পকেটের নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেইভাবে নিয়োমিত অভিযান চালানোর পরামর্শ দিয়েছিল। এছাড়া যাতে সাধারণ মানুষ সরকারি দাম নিয়ে জানতে পারে তার জন্য প্রচার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এত কিছু করবার পরও সেই দাম বেঁধে রাখা গেলো না।

যেখানে পেঁয়াজের সরকারি নির্ধারিত মূল্য প্রতি কেজি ১৭৫ পাকিস্তানী রুপি। কিন্তু তা উল্টে গিয়ে এখন পেঁয়াজের সাথে সব খাদ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এখানেই শেষ না, গত বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ পাকিস্তানের মোট ঋণের (Loan) বোঝা বেড়েছে ৬৩ হাজার ৩৯৯ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। এখানকার নাগরিকের এই অবস্থার জন্য তাদের সরকার তাদের সমস্যা মিটাতে ব্যর্থ।

pak market 2

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তাদের দাম বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে ক্যাবিনেটে বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অর্থ, রাজস্ব এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রীরা। সরকারের পক্ষ থেকে সেখানকার নাগরিকদের জানানো হয়েছে, পণ্যের দাম নিয়ে যেকোনো অভিযোগ করার জন্য সরকারি পরিষেবা ৩৩৩ নম্বরে কল করে অভিযোগ দায়ের করতে পারবে সেখানকার মানুষ। কিন্তু দিন দিন এই অবস্থা আরও বেড়ে চলেছে। ফলে সেখানে দারিদ্রের পরিমাণও বাড়ছে।

সম্পর্কিত খবর