আবেগের নাম ক্রিকেট! স্বপ্নের নায়ক ধোনির সঙ্গে দেখা করতে ১৪৩৬ কিলোমিটার হেঁটে রাচি পৌঁছাল এক পাগল ফ্যান

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই সৌরভের জন্মদিনে কেরালা থেকে বেহালা হেঁটে এসেছিলেন রাজকুমার সত্যনারায়ন নামের এক দাদা সমর্থক। সেই দৃশ্য রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশ্য সৌরভের সঙ্গে দেখা হয়নি রাজকুমারের। তবে বাড়ির সামনে থেকেই দাদার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফিরে যান তিনি। ফের একবার দেখা গেল একই রকম একটি ঘটনা, যা আরেকবার মনে করিয়ে দিল ক্রিকেট শুধু এই ভারতে একটি খেলা নয়, তার চেয়েও অনেক বড় ক্রিকেটীয় আবেগ।

শুক্রবার সকালে এক আজব ঘটনা ঘটে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির রাঁচির ফার্ম হাউসের সামনে। রাঁচির শিমালিয়া অঞ্চলে ধোনির এই প্রিয় ফার্ম হাউস, অবসরের পর অনেকটা সময় এখানেই কাটান তিনি। সেই ফার্ম হাউসের সামনেই শুক্রবার দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল এক যুবককে। স্বাভাবিকভাবেই কাছে এসে প্রশ্ন শুরু করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ১৮ বছরের এই যুবক অজয় গিলের আবদার অধিনায়ক ধোনির এক পাগল সমর্থক তিনি। তাউ মাত্র ১০ মিনিট ধোনির সঙ্গে কাটাতে চান এই যুবক।

কিন্তু ধোনি তো এখন আরব আমিরশাহীতে। আইপিএলের জন্য ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। কি করে দেখা হবে? একথা তাকে জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। তার একটাই দাবি,  ‘ধোনিজি সে মিল কে হি ঘর লউটুঙ্গা (ধোনির সঙ্গে দেখা করেই আমি বাড়ি ফিরব)।’ এরপর কথায় কথায় জানা যায় ধোনির জন্য কতটা পাগল এই যুবক। কারণ ১৮ বছরের এই যুবক হেঁটে এসেছে জালানখেড়া থেকে রাঁচি। ম্যাপে দূরত্ব হিসেব করলে দাঁড়ায় ১,৪৩৬ কিলোমিটার। যুবক নিজেই জানিয়েছে তার সময় লেগেছে ১৬ দিন। ২৯ জুলাই সে হাঁটতে শুরু করে এবং ধোনির বাড়ির সামনে এসে পৌঁছায় ১৫ আগস্ট। কারও কথা শুনতে না চাইলেও শেষ পর্যন্ত বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাকে ফেরত পাঠান এক স্থানীয় ব্যবসায়ী।

MS Dhoni PTI AFP

ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম নক্ষত্র মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ভারতীয় ক্রিকেটের এমন একজন সফল ক্যাপ্টেন, যার হাতে রয়েছে তিন তিনটে আইসিসি ট্রফি। শুধু তাই নয় ২৮ বছরের স্বপ্ন পূরণ করে ভারতকে বিশ্বকাপও এনে দিয়েছে তার নেতৃত্বই। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির জন্য পাগল হওয়া স্বাভাবিক, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু অজয়ের মত পাগলই বা কজন হয়, স্বপ্নের নায়কের সঙ্গে সঙ্গে একবার দেখা করার জন্য হেঁটে আসতে পারে ১,৪৩৬ কিমি।

 


Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর