বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১৩ বছরের খরা কাটিয়ে অবশেষে অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক জয় করেছে ভারত। জ্যাভলিন থ্রোয়ার নীরজ চোপড়ার হাত ধরে কেটেছে এত বছরের অভিশাপ। তাই তাকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই এখন আনন্দে মেতেছে গোটা দেশ। সাম্প্রতিককালে খেলোয়াড়দের বায়োপিক একটি বড় বিষয় হয়ে উঠেছে বলিউডে। শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনি, মিলখা সিং, পান সিং তোমর থেকে শুরু করে সাইনা নেহওয়াল অবধি সকলেরই জীবন কাহিনী নিয়ে ডকুমেন্টরি কিম্বা ফিকশন তৈরি হয়েছে বলিউডে। সম্প্রতি এও শোনা যাচ্ছে সৌরভ গাঙ্গুলীর জীবন কাহিনীর উপরে আসতে পারে একটি বায়োপিক।
জ্যাভলিনে নীরজ সোনা পাওয়ার পর তার জীবনী নিয়েও যে সিনেমা তৈরি হতে পারে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। যদিও এখনই তা নিয়ে বলিউডে কোনও কথা ওঠেনি, কিন্তু এরই মাঝে সামনে এলো একটি ভাইরাল চিত্রনাট্য। চিত্রনাট্যটি মূলত একটি পটবয়লার। সাধারণত দর্শককে বিনোদন দিতে যে ধরনের চলচ্চিত্র আশেপাশে দেখা যায়, তারই সূত্র ধরে চিত্রনাট্যটি রচনা করেছেন এক ফেসবুক ইউজার। নীরজের বায়োপিকে প্রধান চরিত্রে বেছে নেওয়া হয়েছে অক্ষয় কুমারকে। চিত্রনাট্যের নায়িকা কায়রা আদবানী।
চিত্রনাট্যে শুরুতে দেখা যায় একটি বাচ্চা ছেলে তার বাবার সঙ্গে ক্ষেতে কাজ করছে, কোন দিকে কিছু ছেলে ক্রিকেট খেলছে মাঠে। তাদের একটি বল উড়ে আসে ছেলেটির কাছে, সকলেই যখন ভাবছিল এই ছোট্ট ছেলেটি বেশিদূর বল ছুঁড়তে পারবে না। তখন সে দূর থেকে নিশানা লাগিয়ে দেয় উইকেটে। পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন গররাজ নামের এক অ্যাথলেটিক্স কোচ। ছেলেটির প্রতিভা দেখে তিনি বেছে নেন তাকেই। বাবা গরীব হওয়া সত্ত্বেও সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন কোচ। মাঝে আরও অনেক ঘটনা পরম্পরার মধ্যে দিয়ে ছেলেটি একদিন নীরজ চোপড়া হয়ে ওঠে।
এরপর সে সেনাবাহিনীতেও যোগ দেয় এবং তার সাথে পরিচয় হয় নায়িকা কায়রা আদবানীর। একদিন কিছু বদমায়েশের হাত থেকে বর্ষা নিক্ষেপ করে কায়রাকে বাঁচান নীরজ রূপী অক্ষয়। কায়রা তার প্রতি প্রেমও নিবেদন করে, কিন্তু অক্ষয় জানান, “তার একমাত্র লক্ষ্য এখন ভারতের জন্য অলিম্পিকে সোনা জয়।” তখন কায়রা বলেন, “সোনা জিতে এসো, আমি তোমার জন্য ততদিন অপেক্ষা করবো।” এরই মাঝে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ বেঁধে যায়, একজন খেলোয়াড়কে কেউই পাঠাতে রাজি ছিলেন না। কিন্তু জোর করে সকলকে রাজি করিয়ে নিজেই যুদ্ধে যান অক্ষয়। যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের মাঝে একাও পড়ে যান তিনি। কিন্তু ঠিক সে সময় একটি গাছ তুলে নিয়ে সেটাকেই বর্শার মতো ব্যবহার করে শত্রুদের উচিত শিক্ষা দেন নায়ক।
https://www.facebook.com/527680513/posts/10165381607455514/?sfnsn=wiwspmo
কিন্তু এই পর্যায়ে তার চোট লাগে, জানা যায় আর কোনদিন খেলতে পারবেন না তিনি। প্রবল মনের জোর এবং নায়িকার সাহচর্যে ফের অলিম্পিকে ফিরে আসেন অক্ষয় এবং অবশেষে নানা ঘটনা পরম্পরার মধ্যে দিয়ে দেশের জন্য জয় করেন সোনা। এই স্ক্রিপ্ট এখন রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক ক্ষেত্রেই বিনোদনের মাত্রা বাড়াতে গিয়ে বাস্তব থেকে কতটা দূরে সরে যায় বলিউডি চিত্রনাট্য। তারও একটি হাস্যকর প্রমাণ এই লেখাটি। ইতিমধ্যেই লেখাটিতে রিঅ্যাক্ট করেছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ, কমেন্টে নিজেদের মতামত দিয়েছেন প্রায় তিন হাজার জন।