বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার টেলিকম সেক্টরে একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। মূলত, গত ২৬ জুন থেকে সমগ্র দেশজুড়ে (India) এবার “টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০২৩” (Telecommunication Act 2023) কার্যকর হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে সংসদে এই আইন পাস হয়। এই আইনের অধীনে, এখন ভারতের কোনও নাগরিক লাইফটাইমে ৯ টির বেশি সিম কার্ড পেতে পারবেন না। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এর চেয়ে বেশি সিম ব্যবহার করলে ৫০ হাজার থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। শুধু তাই নয়, অন্যের আইডি থেকে জালিয়াতি করে সিম নেওয়ার ক্ষেত্রে হবে ৩ বছরের সাজা। একই সঙ্গে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে।
জানিয়ে রাখি যে, নতুন টেলিকম আইন অনুযায়ী, সরকার প্রয়োজনে নেটওয়ার্ক সাসপেন্ড করতে পারবে। এর পাশাপাশি, ব্যবহারকারীর মেসেজগুলিকে ইন্টারসেপ্ট করতেও সক্ষম হবে। এছাড়াও, পুরনো আইনে একাধিক পরিবর্তন এনে সরকার বিভিন্ন ক্ষমতা নিজের কাছে রেখেছে। উদাহরণস্বরূপ, জরুরি অবস্থার সময়ে, সরকার যেকোনও টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস বা নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। পাশাপাশি, সরকারের অনুমতির পর এবার ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে টাওয়ার বসানো হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এই আইনটি (টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০২৩) গত বছরের ডিসেম্বরেই সংসদে পাস হয়েছিল। এটি দেশের ১৩৮ বছরের পুরনো ভারতীয় টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট এবং দ্য ইন্ডিয়ান ওয়্যারলেস টেলিগ্রাফ অ্যাক্ট ১৯৩৩-কে প্রতিস্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: ভারত-রুশ করিডোর তৈরি করল ইতিহাস! প্রথমবার ট্রেনে করে সাইবেরিয়া থেকে মুম্বাইতে আসছে কয়লা
সরকারের কাছে থাকবে এইসব অধিকার: টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০২৩-এ একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে। যেখানে কোনও জরুরি অবস্থা বা যুদ্ধের ক্ষেত্রে সরকার প্রয়োজনে যেকোনোও টেলিকম সার্ভিস বা নেটওয়ার্ক এবং ম্যানেজমেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। এমনকি, সরকার চাইলে টেলিকম সার্ভিস বা নেটওয়ার্ক অথবা ম্যানেজমেন্টকে সাময়িক সাসপেন্ডও করতে পারবে। এছাড়াও, দেশের জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে সরকার যেকোনও মেসেজের ট্রান্সমিশনও বন্ধ করতে পারে।
আরও পড়ুন: গলে গলে পড়ছে হাত, পা! এ কী অবস্থা মার্কিন প্রেসিডেন্টের?
স্প্যাম কল থেকে মিলবে স্বস্তি: নতুন টেলিকমিউনিকেশন আইনে সরকার স্প্যাম কলের সমস্যার দিকেও গুরুত্বের সাথে নজর দিয়েছে। যার ফলে প্রতারণার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে এখন টেলিকম কোম্পানিগুলিকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। জানা গিয়েছে যে, এবার টেলিকম সংস্থাগুলিকে কোনও ধরণের প্রমোশনাল মেসেজ পাঠানোর আগে ব্যবহারকারীদের সম্মতি নিতে হবে। এছাড়াও, ব্যবহারকারীদের অভিযোগ শোনার জন্য, টেলিকম সংস্থাগুলিকে একটি অনলাইন মেকানিজম তৈরি করতে হবে। যেখানে ব্যবহারকারীরা তাঁদের অভিযোগগুলি অনলাইনে নথিভুক্ত করতে পারবেন।