বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাকিস্তানে (Pakistan) খাইবার পাখতুনখোয়ায় গুঁড়িয়ে ভেঙে ফেলা হল ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির। সূত্রের খবর, ঐ মন্দিরের জায়গায় তৈরি হচ্ছে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স। তারপর থেকেই শোরগোল পড়ে গেছে পড়শিদেশে। পাক প্রশাসন এই বিষয়ে মুখ না খুললেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হিন্দু মন্দির ম্যানেজমেন্ট কমিটির হারুন সরবদিয়াল। পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হিন্দু সংগঠন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই বন্ধ পড়ে রয়েছে মন্দিরটি। দেশভাগের সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের সিংহভাগ মানুষই ভারতে চলে আসেন। তারপর থেকেই বন্ধ রয়েছে মন্দিরের নিত্যপুজো। আর এবার সেই অজুহাতেই মন্দির ভাঙার নির্দেশ দিয়েছে পাক প্রশাসন। তবে হিন্দুপক্ষের দাবি, মন্দির একটি আধ্যাত্মিক জায়গা। তাই সেটি না ভেঙে মেরামতও করা যেত।
ওদিকে পাক মিডিয়া দাবি করছে, এই মন্দিরের জায়গায় জায়গায় ইট খসে পড়েছিল। সেই কারণেই নাকি মন্দির ভাঙার সিদ্ধান্ত নেয় পাক প্রশাসন। আজ থেকে ১০ থেকে ১৫ দিন আগেই নাকি এই মন্দিরটি সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই সেই ধ্বংসস্তূপের উপর শুরু হয়ে গেছে নতুন কমপ্লেক্সের গাঁথুনি।
আরও পড়ুন : মিগ ২১-র বদলে ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত হবে এই ভয়ংকর ফাইটার জেট! ৬৫ হাজার কোটির বরাত পেল HAL
এইদিন লান্ডি কোটাল এলাকার একজন পাক সাংবাদিক ইব্রাহিম শিনওয়ারি বলেন, ‘’লান্ডি কোটাল বাজারের মধ্যমণি ছিল এই খাইবার মন্দির। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সাল থেকে এই মন্দির আর খোলা হয়নি কখনও।১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় এখানকার কিছু ধর্মগুরু এই খাইবার মন্দির নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন।’
আরও পড়ুন : লখনউয়ের বিরুদ্ধে কেকেআরে বড় বদল! বাদ পড়ছেন মহাতারকা? নয়া চমক প্রথম একাদশে
লান্ডি কোটাল পাটওয়ারি জামাল আফ্রিদি বলেন, এইভাবে মন্দির ভাঙতে থাকলে শীঘ্রই মন্দির এবং ঐতিহাসিত স্থাপত্য ভ্যানিশ হয়ে যাবে। যেখানে হিন্দু মন্দির ম্যানেজমেন্ট কমিটির বক্তব্য, ‘আর্কিওলজি এবং মিউজিয়াম বিভাগ, পুলিশ, সাংস্কৃতিক বিভাগ, স্থানীয় সরকার ২০১৬ অ্যান্টিকুইটি আইন অনুযায়ী এই ধরণের মন্দির সংরক্ষণ করতে বাধ্য। যে সকল স্থাপত্যে অ-মুসলিমরা পুজার্চনা করেন, সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিরই দায়িত্ব।’