এ তো এক্কেবারে ভোলবদল! আর চিনতে পারবেন না দীঘাকে, পর্যটকদের জন্য নয়া উদ্যোগ প্রশাসনের

   

বাংলাহান্ট ডেস্ক : উইকেন্ড হোক কিংবা পরপর তিন চারদিন ছুটি, এই সময় বাঙালির ডেস্টিনেশন হলো দীঘা (Digha)। বন্ধু-বান্ধব পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে হৈ হৈ করে সকলেই দীঘা বেড়াতে যেতে ভালোবাসেন। শীত গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা যে কোন ঋতুতে বাঙালি পর্যটকদের প্রথম পছন্দের জায়গা হল দীঘা। শুধু বাঙালি কেনো, এখন তো ভিন রাজ্য তথা ভিন দেশ থেকে পর্যটকরা আসছেন দীঘায়। এবার পর্যটকদের কথা চিন্তাভাবনা করে বড় উদ্যোগ গ্রহণ করল দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ।

সৈকত নগরীর নিউ দীঘায় দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের পক্ষ থেকে শুরু হল অবৈধ হকার উচ্ছেদের কাজ। সৈকত নগরীর রাস্তাঘাটে অবৈধভাবে থাকা ঝুঁপড়ি ও অস্থায়ী দোকানগুলি উচ্ছেদ করে দিল শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারীকরা। অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য দীঘা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীর মোতায়েন ছিল। সুন্দর এবং স্বচ্ছ ভাবে পর্যটকদের কাছে সৈকত নগরীকে উপস্থাপন করার জন্যই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ।

আরোও পড়ুন : আপনার চরিত্র কেমন? মুখে প্রকাশ করতে হবে না বলে দেবে আপনার ভ্রু!

দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রতিনিধি চন্দন কর্মকার জানিয়েছেন “দিঘায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। আগে থেকে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছিল। তারা কোনও নির্দেশ মান্যতা দেয়নি। দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পরিষদের অফিসে বিভিন্ন আধিকারিক, হোটেল অ্যাসোসিয়েশন, হকার এসোসিয়েশন, প্রভৃতি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে। পর্যটন শহর এলাকায় দিন দিন বেড়ে চলেছে হকারের সংখ্যা।”

1642844110 digha

নিউ দীঘা থেকে শুরু করে ওল্ড দীঘা পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে জায়গা দখল করে বসে থাকা হকারদের উচ্ছেদ অভিযানের আগে বহুবার সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়াতে শেষমেষ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। রাস্তার ধারে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে বসে থাকা হকারদের জন্য যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হতো পর্যটকদের। ইতিপূর্বে বহুবার এই সমস্ত হকারদের সতর্ক করা হয়েছিল তারা যাতে ওই জায়গা থেকে সরে যান। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। তাই প্রশাসনের এমন কঠিন পদক্ষেপ।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর