চাহিদা বাড়ছে বুস্টার ডোজের, কিন্তু রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিনে টান

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফের একবার মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা। ইতিমধ্যেই চিন, আমেরিকা, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে দাপট দেখাতে শুরু করে দিয়েছে ওমিক্রণের সাব ভেরিয়ান্ট। এই মুহূর্তে স্বাস্থ্য দপ্তর তাই বলছে যত শীঘ্রই সম্ভব সবাইকে তৃতীয় টিকা অর্থাৎ বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য। কিন্তু এমন সময় করোনা টিকায় ঘাটতি দেখা দিচ্ছে বঙ্গে। সারা দেশের সঙ্গে বাংলাতেও করোনা টিকা বাড়ন্ত।

দেখা যাচ্ছে, এ রাজ্যে যেখানে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জন প্রথম ডোজ ও ১০ জনের মধ্যে ৮ জন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, সেখানে তৃতীয় টিকাটি নিয়েছেন প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৩ জনেরও কম। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এখন চিন্তিত যে এই বিশাল পরিমাণ ফারাক কিভাবে মোকাবিলা করা যায়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, বাংলায় ৭.৩৫ কোটি মানুষ করোনার প্রথম টিকা নিয়েছেন। দ্বিতীয় টিকা নিয়েছেন ৬.৬৭ কোটি মানুষ। সেই জায়গায় মাত্র ১.৫৭ কোটি মানুষ নিয়েছেন বুস্টার ডোজ। শতাংশের হিসাবে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৯৬% মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮৪% মানুষ। সেখানে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন মাত্র ২৫% মানুষ। জানা যাচ্ছে এই মুহূর্তে রাজ্যের কাছে মাত্র ৩ হাজার ডোজ কোভিশিল্ড এবং ১.৮ লক্ষ ডোজ কোভাক্সিন টিকা আছে। এগুলির মেয়াদ আগামী জানুয়ারি মাসেই ফুরিয়ে যাচ্ছে।

করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে উদ্বিগ্ন এ রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারাও। কেন্দ্রের তরফ থেকে টিকাকরণে জোর দেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে কিভাবে তা সফল করা হবে তা ভেবে পাচ্ছেন না তাঁরা। উদ্বেগের সুর শোনা গিয়েছে স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীর গলাতেও। কারণ গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর শেষবারের মতো বাংলায় টিকা পাঠিয়েছিল কেন্দ্র।

তারপর জানিয়ে দেওয়া হয় কোন রাজ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে আর টিকা পাঠানো হবে না। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয় যদি হঠাৎ কোন রাজ্যের টিকার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অন্য রাজ্যের উদ্বৃত্ত টিকা হস্তান্তর করা যেতে পারে। টিকাকরণের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত স্বাস্থ্যকর্তা অসীম দাসমালাকার বলেছেন, “নতুন একটা নীতিগত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে কেন্দ্রকে। নয়তো বুস্টার ডোজ কিভাবে দেওয়া হবে!”covid19

রাজ্যের একাধিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করে নিচ্ছেন মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি করোনা ঠেকাতে বুস্টার টিকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চিকিৎসক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেছেন,”চিনের পাশাপাশি ইউরোপ, আমেরিকাতেও ওমিক্রণের অতি সংগ্রামক বিএফ.৭ প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। আমাদের দেশেও এখনও পর্যন্ত এরকম চারটি কেস পাওয়া গেছে। এই মুহূর্তে বিশেষ করে প্রবীনদের বুস্টার এর প্রয়োজনীয়তা আছে।”

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর