অমিত সরকারঃ কেউ কিশোরী, কেউ যুবতী, কেউ কেউ আবার মা। আন্তর্জাতিক স্তর থেকে ভারতের জন্য তারা পদক নিয়ে এনেছেন বারবার। কিন্তু তাদের পথ গোলাপ ছড়ানো ছিল না। তাদের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানসিক দৃঢ়তায় নিজের আঙ্গিনা তৈরি করতে হয়েছিল। কিন্তু আজকে সেই শ্রেণীর মেয়েদের কথা এখানে বলব না। এখানে বলব সেই রকমের কথা। যে কিনা বীরাঙ্গনা হয়ে উঠেছে সমাজের প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে। হ্যাঁ আর যে বীরাঙ্গনা হতে পারেনি। তাকে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে ধর্ষকদের হাতে। নিকৃষ্ট সমাজের কীট তাদেরকে এমন ভাবে নির্যাতন করেছে যার সমাজ কখনই মেনে নেয়নি। আইন তাকে দিয়েছে সাজা। কিন্তু সেই সাজার জন্য মুখ তুলেছেন সেই সরকারের দিকে। কখন হবে তাদের সেই নির্মম সাজা?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি দেখিয়ে বর্তিকা বলেন, ‘আমি নিজের হাতে নির্ভয়াকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চারজনের ফাঁসি দিতে চাই। এর ফলে দেশের মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছবে যে মহিলারাও ফাঁসি দিতে পারেন। আমার মনে হয়, এর ফলে সমাজে আমূল পরিবর্তন আসবে। আর অপরাধীরাও মহিলাদের উপর নির্যাতন করতে ভয় পাবে। আমি চাই, দেশের সমস্ত অভিনেত্রী এবং মহিলা সাংসদরা আমার এই সাহসী উদ্যোগের সমর্থনে এগিয়ে আসুন। আশাকরি এর ফলে অবস্থার পরিবর্তন হবে।’
প্রসঙ্গত, ১৬ ডিসেম্বর নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, এক ধর্ষক অক্ষয় ঠাকুর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ায় ফের ফাঁসি স্থগিত হয়ে যায়। বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে নির্ভয়ার পরিবার। ধর্ষকরা শাস্তি এড়াতে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ জানিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন নির্ভয়ার মা। আর সেখানে আশঙ্কার মেঘ দেখছে তাদের পরিবার।