বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বাংলায় (west bengal) নির্বাচনের পূর্বে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। উদ্ধার করা নথি থেকে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে রাজ্যের প্রায় ১০০টি থানার অফিসার ইনচার্জের নাম পাওয়া গিয়েছে। সেইসঙ্গে উঠে এসেছে বেশ কিছু ওসির ‘মাসোহারা’ পাওয়ার বিষয়ও।
সিবিআই, আয়কর দফতরের তরফ থেকে গরু পাচারে অভিযুক্ত এনামুল হক এবং কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার একাধিক আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে যে ১৫,০০০ পাতার ‘খাতা’ পাওয়া গিয়েছে, তাতেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত রাজ্যের অফিসার ইনচার্জদের নাম পাওয়া গেছে। কোন কোন খাতে কত টাকা কোন থানায় পাঠানো হয়েছিল, সবকিছু লিপিবদ্ধ করা রয়েছে সেই খাতায়।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের প্রায় ৮-৯ টি জেলার ওসিরা ‘মাসোহারা’ও পেতেন। সমস্ত নথি নিজের হাতে সই করে আয়কর কর্তাদের হাতে তুলে দিয়েছে লালা, এমনটা জানা গিয়েছে। সমস্ত নথি যে কম্পিউটারে ছিল, সেটা আমদাবাদের ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষার করানো হয়েছে। খাতায় নাম থাকা সকল ওসিকেই আয়কর ও সিবিআই তদন্তের প্রয়োজনে ডাকা হবে। তবে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দুই ওসি এবং কয়লা পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত এক ওসিকে।
সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের থেকে জানা গিয়েছে, অনেক সময় এই কাজে অনেক ওসি বেশিদিন টিকতে পারেননি, তাদের নাম আবার লালার খাতায় পাওয়া গিয়েছে। তবে আরও জানা গিয়েছে, এই ‘মাসোহারা’ পাওয়ার তালিকায় বীরভূম, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোল কমিশনারেট, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার যেখানে ইটভাটা রয়েছে, সেখানকার ওসিরা কয়লা থেকে মাসোহারা পেতেন।