বাংলা হান্ট ডেস্কঃশিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে (West Bengal) টানাপোড়েন চলছে। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্টের তরফ থেকে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়। যে কারণে রাতারাতি চাকরি হারান প্রায় ২৬,০০০ প্রার্থী। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেও এখনও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন প্রত্যেকে। এই পরিস্থিতিতে তাই এবার বাংলা থেকে বিহার (Bihar) পাড়ি দিচ্ছেন অগুনতি চাকরিপ্রার্থী।
সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ নিবাসী সম্রাট মণ্ডল যেমন গত ২০ মে পড়শি রাজ্য থেকে শিক্ষকতার পরীক্ষা দিয়ে ফিরেছেন। তিনি জানান, সেদিন হাওড়া, হুগলি থেকেও প্রচুর পরীক্ষার্থী গিয়েছিলেন। ভোটের আবহেই চাকরির খোঁজে পড়শি রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন তাঁরা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যে যে ঘোর অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে, সেদিকে নজর রেখে বাংলা (West Bengal) থেকে অনেকেই চাকরির খোঁজে বিহার ছুটে গিয়েছেন।
সম্রাট জানান, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদের অনেকেই ভোট, ঝড়ের মাঝেই রবিবার বিহারে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন। কারোর গন্তব্য পাটনা, কারোর গয়া, কারর আবার মজফফরপুর। বিএড কলেজের শিক্ষকদের হিসেব, পড়শি রাজ্যের সেকেন্ডারি টিচার এলিজিবিটি টেস্ট কিংবা ‘স্টেট’ পরীক্ষায় এই রাজ্য থেকে অন্তত ৪০,০০০ চাকরিপ্রার্থী যাচ্ছেন। গত ১৮ মে থেকে শুরু হয়েছে পরীক্ষা, চলবে ২৯ মে অবধি।
আরও পড়ুনঃ মমতা নয়, I.N.D.I.A জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে অভিষেক! ভোটের মধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি মোদীর
উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকতার যে চাকরি রয়েছে, প্রার্থীদের মধ্যে তারও ব্যাপক চাহিদা। প্রার্থীদের অনেকেই বলছেন, কয়েক বছর আগে অবধিও এমন চিত্র দেখা যেত না। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহারের শিক্ষকতার চাকরির জন্য প্রার্থীরা যাচ্ছেন, এই দৃশ্য যেন কল্পনারও অতীত ছিল। সংরক্ষণের সুবিধা ছাড়া প্রত্যেককে সাধারণ প্রার্থী হিসেবে পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে।
হাওড়া, হুগলি থেকে শুরু করে মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলার প্রার্থীরা চাকরির খোঁজে এর মধ্যে বিহার পাড়ি দিচ্ছেন। পরীক্ষার দিনক্ষণ অনুযায়ী প্রত্যেকে রওনা দিচ্ছেন। রাজ্যে চলছে ভোট, চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, সেসবের তোয়াক্কা না করেই পড়শি রাজ্যে ছুটছেন প্রার্থীরা।