জানেন না লেখাপড়া! ওদিকে মাধ্যমিকে ৯৯.৭% নম্বর পেয়ে পিয়ন, যুবকের কীর্তি ঘিরে শোরগোল রাজ্যে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ছাত্র জীবনে সমস্ত পড়ুয়াদের কাছেই মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam) হল জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষা। এবার এই গুরত্ববপূর্ণ পরীক্ষার ফলাফলেই ধরা পরল চরম গাফিলতি। সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে দশম শ্রেণীর এমন একজন ছাত্রের কথা যার এই লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৭%। আর সেই নম্বর দিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি পেয়ে গিয়েছেন একজন পিয়নের চাকরি।

কিন্তু সার্টিফিকেটে ঝুরি-ঝুরি নম্বর থাকলে কি হবে, এই ডিগ্রিধারী ব্যক্তি আদতে লিখতে কিম্বা পড়তে কিছুই জানে না।  এই পর্যন্ত পড়ে অনেকেই হয়তো ভাবতে শুরু করেছেন এমন ঘটনা নিশ্চয় আমাদের রাজ্যেই অর্থাৎ পচিমবঙ্গে ঘটেছে। আসলে ইদানিং যে হারে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে তাতে এই ধারণা করা খানিকটা স্বাভাবিক। কিন্তু এবার এই ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে নয় ঘটেছে সেই সুদূর কর্নাটকে (Karnataka)।

সেখানকার বাসিন্দা প্রভু লক্ষ্মীকান্ত লোকারে নামে ২৩ বছর বয়সী ওই যুবক মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট  ৯৯.৭% নম্বর নিয়ে পাশ করেছিলেন। আর সেই নম্বর দেখিয়েই তিনি  পিয়নের চাকরি পেলেও আদতে নি লিখতে কিংবা পড়তে কিছুই পারেন না তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে এত বেশি নাম্বার তিনি পেলেন কি করে? আদৌ কি ওই নম্বর পাওয়ার যোগ্য তিনি? তাছাড়া লেখা-পড়া যদি না-ই জানেন তাহলে কি শুধু নম্বর দেখিয়েই ওই চাকরি পেয়েছেন তিনি?

জানা যাচ্ছে শিরোনামে উঠে আসা এই যুবক বর্তমানে কোপ্পাল জেলার স্থানীয় আদালতে পিয়নের চাকরি করছেন।জানা যাচ্ছে চলতি বছরের ২২ এপ্রিলেই চাকরির চূড়ান্ত মেধা তালিকার নাম এসেছিল ওই যুবকের। গত ২৬ এপ্রিল এই মামলাটি সম্পর্কে একটি FIR দায়ের করা হয়েছিল।  যা থেকে উঠে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায় , সপ্তম শ্রেণীর পর সোজা দশম শ্রেণীতে উঠে সেখানের পরীক্ষায় বসেছিলেন ওই ব্যক্তি।

আরও পড়ুন: আর কোনো বাধা রইল না, CAA-তে নাগরিকত্ব পাবেন বাংলার মানুষ! এবার কি করবেন মমতা?

তবে মামলা আদালতে ওঠার পর  ইতিমধ্যে বিচারক পুলিশকে লোকারের একাডেমিক রেকর্ড সম্পর্কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আশ্চর্য্য জনকভাবে লোকারে নাকি মাধ্যমিকে মোট ৬২৫ নম্বরের মধ্যে ৬২৩ নম্বর পেয়েছিলেন।  কিন্তু এত ভালো একাডেমিক নম্বর থাকার পরেও লোকারে কন্নড়, ইংরেজি বা হিন্দি কিছুই পড়তে পারেননা।

MMP 3

তাই স্বাভাবিকভাবেই তার রেজাল্ট সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বাকিরাও এই উপায়ে চাকরি পেয়েছেন কিনা তা নিয়েও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিচারক জানিয়েছেন,এ’ই ধরনের প্রতারণামূলক একাডেমিক নম্বর বাকি প্রার্থীদের মেধাবী প্রার্থীদের ক্ষতি করছে।’

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর